বিজেপির ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ কি আসানসোল, প্রশ্ন অভিষেকের
আনন্দবাজার | ১২ মে ২০২৪
আসানসোল যেন বিজেপির ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’, বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে উদ্দেশ্য করে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার আসানসোল কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হার সমর্থনে রোড-শো করতে আসেন অভিষেক। রোড-শো শেষে তিনি বলেন, “আসানসোলকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে বিজেপি ব্যবহার করছে। অহলুওয়ালিয়াজিকে ডাম্প করার জন্য আসানসোলকে চিহ্নিত করেছে। ইনি এক বার দার্জিলিঙ, এক বার দুর্গাপুর (বর্ধমান-দুর্গাপুর), এ বার আসানসোল। আসানসোল তো রাজ্যের বর্ডার। এ বার রাজ্য থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।’’ শত্রুঘ্নকে উপনির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জেতানোর ডাক দিয়ে আসানসোলের উন্নয়নের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এ দিন উষাগ্রাম থেকে গির্জা মোড় পর্যন্ত রোড-শো হয়। গির্জা মোড়ে বক্তব্য রাখার সময় পুরনো স্মৃতি তুলে ধরেন অভিষেক। বলেন, “আজ থেকে দু’বছর আগে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে যখন উপনির্বাচন হয়েছিল, আমি এই রুট থেকে রোড-শো করে মানুষের আশীর্বাদ, সমর্থন চেয়েছিলাম। দীর্ঘ আট বছর বিজেপিকে সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি বাংলা-সহ আসানসোলের মানুষকে নিপীড়ন, লাঞ্ছনা ছাড়া কিছুই দেয়নি।” এ বার শত্রুঘ্ন সিন্হাকে জেতালে ডায়মন্ড হারবারের মতো আসানসোলের উন্নয়ন করবেন বলেও দাবি করেন।
আসানসোলে সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরেন্দ্রর বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন। শুক্রবার ওই ভাষাতেই অভিষেক বলেন, “বিজেপি প্রার্থী টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন। পদ্মফুলের টাকা নেবেন, ভোটটা জোড়াফুলে দেবেন।” নাম না করে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক তথা মেদিনীপুরের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকেও আক্রমণ করেন। বলেন, “গো হারা হারবে। তার পরে আসানসোলে ঢুকতে দেবেন না।”
এ দিন ফের বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলে উল্লেখ করেন অভিষেক। প্রশ্ন করেন, গত আট বছরে আসানসোলে বিজেপি সাংসদ ছিলেন। কোনও উন্নয়ন হয়েছে কি? আসানসোলে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন ‘মুঝে বাবুল চাইয়ে’। আর সেই বাবুল সুপ্রিয় মোদীজির হাত ছেড়ে দিদির গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করেছেন।”
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “একেবারে শেষ বেলায় প্রচারে এসে তৃণমূল নেতা হাওয়া ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু তা যে কোনও ভাবে সম্ভব নয়, সেটা তিনি বিলক্ষণ বুঝেছেন।”