• ‘কাঁটে কি টক্কর’ বর্ধমান পূর্বে, চিকিৎসক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী ফোর পাস! ‘খেলা’ ঘোরাতে পারে রায়না
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ১২ মে ২০২৪
  • রাত পোহালেই বর্ধমান পূর্বে লোকসভা ভোট। এই কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বুঝেই উঠতে পারতেন না তিনি কোন দলে আছেন। তৃণমূল না বিজেপিতে? শেষমেশ এই কেন্দ্রে BJP বা তৃণমূল কেউই তাঁকে টিকিট দেয়নি। নদিয়ার চাকদার বাসিন্দা কবিয়াল অসীম সরকার এই কেন্দ্রে BJP-র প্রার্থী। শর্মিলা সরকার জোড়াফুলের প্রার্থী। অন্যদিকে, বামেদের হয়ে এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন ৪৬ বছর বয়সী নীরব খাঁ।

    এবার কি বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে উলোট-পুরান ঘটবে? নাকি তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের আসন ধরে রাখতে পারবে? রায়না বিধানসভা এলাকায় CPM একটু শক্তিশালী হতেই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বর্ধমান জেলার রাজনীতিতে। তাছাড়া এই কেন্দ্রে ফ্যাক্টর হতে চলেছে মতুয়া ভোটও। রাত পোহালেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়বেন বর্ধমান-পূর্বের মানুষ।

    বর্ধমান-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারতেন না আদৌ তিনি কোন দলে আছেন। তৃণমূল না বিজেপিতে? শেষমেশ এই কেন্দ্রে BJP বা তৃণমূল কেউই তাঁকে টিকিট দেয়নি। নদিয়ার চাকদার বাসিন্দা কবিয়াল অসীম সরকার এই কেন্দ্রে BJP-র প্রার্থী। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ৪৫ বছরের ডাঃ শর্মিলা সরকার জোড়াফুলের প্রার্থী। অন্যদিকে, বামেদের হয়ে এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষক ৪৬ বছর বয়সী নীরব খাঁ। তবে লড়াই এই কেন্দ্রে মূলত দুই সরকারের, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    BJP বিধায়ক কবিয়াল অসীম সরকার মঞ্চে উঠেই গান ধরে ফেলছেন। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী বছর তেষট্টির অসীম সরকার সুভাষনগর ক্ষিরোদা সুন্দরী বিদ্যালয় থেকে ১৯৭১ সালে চতুর্থ শ্রেণী পাশ করেছেন। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার বিশিষ্ট চিকিৎসক। নীরব খাঁ প্রাথমিক শিক্ষক। রাজনীতির ময়দানে এখানে কে কাকে টেক্কা দেন তা জানা যাবে ৪ জুন। কিন্তু একবার দেখে নেওয়া যাক গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের হালহকিকৎ।

    বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল BJP প্রার্থীকে ৮৯,৩১১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। এই লোকসভার মধ্যে রয়েছে রায়না, জামালপুর, কালনা, মেমারি, পূর্বস্থলী উত্তর, পূর্বস্থলী দক্ষিণ ও কাটোয়া। এখানকার বেশির ভাগ অঞ্চল কৃষি প্রধান। ওই নির্বাচনে তৃণমূলকে সব থেকে বেশি লিড দিয়েছিল রায়না বিধানসভা এলাকা। ৫৪,৮৪৯ ভোট। এই কেন্দ্রে সিপিএমের ভোট ছিল ৩৩,৫১০। এবার এই ভোট বাড়লে তৃণমূলের চাপ বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একমাত্র কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

    অন্যদিকে জামালপুর, মেমারি, কালনা ও পূর্বস্থলী উত্তরে বেশ লড়াই হয়েছিল দু’পক্ষের। তবে পূর্বস্থলী দক্ষিণে প্রায় ২২ হাজার লিড ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। একসময় বর্ধমানের এই গ্রামীণ এলাকা সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল। সেক্ষেত্রে মাত্র কয়েক শতাংশ ভোট বামেদের ঘরে ফিরলেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। তবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার ৭টি বিধানসভাতেই জয় পায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)