স্টাফ রিপোর্টার: ভোটের আগে ফের বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল বলে অভিযোগ। এপ্রিলে রাজ্যকে ৫৮ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। সেখানে মে ও জুন ? দুমাসের জন্য কেন্দ্রের তরফে মোট ৩৯ হাজার ২১২ কিলোলিটার তেল বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে রাজ্যকে ২০ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন সরবরাহ করবে কেন্দ্র, যা এপ্রিলের তুলনায় অনেকটাই কম।
দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধ চলছে। অভিযোগ, রাজ্যের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট পরিমাণ কেরোসিন (Kerosene) সরবরাহ করছে না কেন্দ্র। এনিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)মামলাও দায়ের হয়। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য খাদ্য দপ্তরের তরফে যে পরিমাণ কেরোসিনের কথা জানানো হবে, তা পর্যালোচনা করে কেন্দ্রকে বরাদ্দ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, উলটো পথে কেন্দ্র হাঁটছে। এমনই অভিযোগ রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
খাদ্য দপ্তর (Food Department) সূত্রে অভিযোগ, কেন্দ্র প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুযায়ী কেরোসিন তো সরবরাহ করছেই না, উলটে সময়ের অনেক পরে বরাদ্দের কেরোসিন দিচ্ছে। ফলে রেশনে (Ration) কেরোসিন নিতে এসে গ্রাহকরা তা না পেয়ে ডিলারদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ছে। গন্ডগোলও ঘটছে কোথাও কোথাও। একইভাবে রেশনে বরাদ্দ কেরোসিন না পেয়ে সমস্যায় পড়ছেন গরিব মানুষেরাও। যেভাবে বরাদ্দের পরিমাণ কেন্দ্র কমিয়ে চলেছে তাতে আগামী দিনে আন্দোলন ছাড়া সমস্যার সুরাহা হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রেশন ডিলার সংগঠনের পদস্থ কর্তা। তাঁর কথায়, প্রয়োজনে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
বহু নিম্নবিত্ত পরিবার এখনও রান্নার জন্য কেরোসিন তেলের উপর নির্ভরশীল। মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ কেরোসিন না পেলে তাঁদের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। খোলা বাজারে আলাদা দাম দিয়ে কেরোসিন কেনার খরচ অনেক বেশি, যা গরিব পরিবারগুলির পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। আর এখানেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠছে।