নির্বাচনের আগে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার হয়েছিল ডোমকল মহকুমা এলাকা থেকে। ফলে একটা আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল ডোমকলের আকাশে। কিন্তু নির্বাচনের দিন নির্বিঘ্নেই কেটেছে ডোমকলের ভোট পর্ব। বিন্দুমাত্র রক্তক্ষয় ঘটেনি সেখানে। কিন্তু ভোটের পরে আবারও ডোমকলের জুগিন্দা মালিথা পাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হল পাঁচটি তাজা সকেট বোমা। আর এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সোমবার ডোমকল লাগোয়া বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করছেন, ভোটের দিন কোনও গন্ডগোল না হলেও পরবর্তীতে গন্ডগোল হওয়ার আশঙ্কাও ডোমকলে থেকে যাচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি কেবল ভোটের আগে নয়, ভোট পরবর্তী সময়েও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। আর সেই আতঙ্কেই দুষ্কৃতীরা বোমা রেখে আসছে মাঠে, ঘাটে বা জঙ্গলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়। পরে বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে সেই বোমা।
তবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এ বারের নির্বাচন নির্বিঘ্নে হাওয়ায় ডোমকলবাসীর মুখে হাসি ফুটেছে। অনেকেই মনে করেছেন যে, পুলিশ যে ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র বোমা উদ্ধার করেছে তার ফলেই এমন রক্তপাতহীন নির্বিঘ্ন নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এ দিনের বোমা উদ্ধারের পর আবারও প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন এখনও অনেক বোমা মজুত রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আদতে পুলিশের চাপে নির্বাচনের সময় সেটা কাজে লাগাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নজরদারি ঢিলেঢালা হলেই এই সব আগ্নেয়াস্ত্র বোমা কাজে লাগাবে তারা। বিশেষ করে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর একটা গন্ডগোলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
ডোমকলের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলছেন, ‘‘যে দলই জিতুক না কেন, ফল প্রকাশের পরে একটা গন্ডগোলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পুলিশ যেমন নির্বাচনের সময় কড়া পদক্ষেপ করেছিল, আমরা আবেদন রাখব ওই সময়েও কড়া নজরদারির। পাশাপাশি বিশেষ করে নেতাদের উপরে লাগাম টেনে রাখলে কোনও বিপত্তি ঘটবে না বলেই মনে করি আমি ও এলাকার মানুষ।’’