• ২৫৭৫৩ চাকরিহারার তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিল সিবিআই, আদালতের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ
    আনন্দবাজার | ১৩ মে ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিল সিবিআই। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আবার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা তথা শিক্ষাকর্মীদেরও তলব করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু শিক্ষককে জেরাও করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে অভিযুক্তদের তলব থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতর থেকে।

    সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত সাতটি নথি সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের এই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগেই সিবিআই এই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। ২০১৬ সালে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি পরীক্ষা থেকে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত যাবতীয় নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিপ্রাপকদের এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করছে সিবিআই। পাশাপাশি, পরীক্ষার রেজাল্ট, ইন্টারভিউ এবং শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র, চাকরির নিয়োগপত্র, পর্ষদের তরফ থেকে পাওয়া নিয়োগপত্র, জয়েনিং রিপোর্ট, ডিআইয়ের নিয়োগপত্র এবং স্কুল থেকে পাওয়া বেতনের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করার কাজ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিল করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর।

    কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের রায়ে চাকরি গিয়েছিল যাঁদের, তাঁদের চাকরি আপাতত বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ‘আপাতত’। এ ব্যাপারে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ১৬ জুলাই এ সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে। ‘প্রমাণিত অযোগ্যদের’ বেতনের টাকা ফেরতের রায়েও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আপাতত এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৬ জুলাই। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের এক মাস ১২ দিন পর আবার শুনানি হবে এসএসসি-র ‘চাকরি বাতিল’ সংক্রান্ত মামলার। তবে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে হাই কোর্টের রায় ভুল ছিল না।

    তবে পাশাপাশি দেশের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অবৈধ নিয়োগ নিয়ে মামলায় এখনও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। আর তাই এ বার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)