ভয়াবহ মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি সঙ্গে তীব্র হড়পা! অতিবর্ষণ ও হঠাৎ-বন্যায় মৃত্যু প্রায় ৩৫০, বিস্তীর্ণ এলাকা কাদার নীচে...
২৪ ঘন্টা | ১৩ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তালিবান সরকার আফগানিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দারিদ্র্যে জর্জরিত কৃষিনির্ভর আফগানিস্তানে শুক্রবার বাঘলান, তাখার ও বাদাখশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘর ও হেরাত প্রদেশেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে নদীর জলস্তর বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদায় ঢাকা পড়েছে।
শনিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তাঘাট ও কাদার মধ্য থেকে স্থানীয় লোকদের উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করেছে। দেওয়া হয়েছে ত্রাণ। বন্যার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কিছু এলাকায় সতর্কবার্তাও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে একটি উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশ। শুধু এখানেই তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হাজার-হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাঘলান প্রদেশে ৩১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ২৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাঘলান প্রদেশে ১৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া তাখার প্রদেশে ২০ জন এবং পার্শ্ববর্তী বাদাখশানে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।বাঘলান প্রদেশের এক বাসিন্দ বলেন-- এ বন্যায় আমার বাড়িঘর ভেসে গিয়েছে, আমি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছি। বন্যার জল বাড়তে শুরু করলে তাঁর পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু আকাশ পরিষ্কার হতেই তারা বাড়ি ফিরে আসে। আর এসে দেখে, কিছুই নেই। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, ঘরের সব ভেসে গিয়েছে!দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে খাদ্য, ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝিতেও ১০টি প্রদেশে বন্যায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল আফগানিস্তানে।