রেশন দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের
প্রতিদিন | ১৩ মে ২০২৪
গোবিন্দ রায়: রেশন দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫টি মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দুটি মামলায় ত্রুটি আছে। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত চলছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যের এই রিপোর্ট নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে ইডিকে। আগামী ১৭ জুন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থায় ব্যাপক কারচুপির তথ্য নজরে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেই তদন্তে নেমে রেশন বণ্টনে দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে ইডি। বাকিবুরকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, এই মামলার তদন্ত যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হতে থাকে, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুরের যোগসাজশের বিষয়টি। এর পরই গ্রেপ্তার হন শংকর আঢ্য। বর্তমানে ইডির জালে ধরা পড়েছেন শংকর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গাইঘাটা থানার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সব রেশন দুর্নীতির মামলা ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের হাতে থাকা অন্তত ৬টি মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। রাজ্যের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৭ জুনের মধ্যে ইডিকে আদালতে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ জুন।