পুরনো শত্রুতায় খুন TMC কর্মী! ?৩৪ বছর ধরে রক্তের হোলিখেলার অভ্যেস?, CPM-কে তোপ শাসকদলের
প্রতিদিন | ১৩ মে ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেতুগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় (Ketugram Murder) সামনে এল নয়া তথ্য। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন করা হয়েছে তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখকে। আগে তিনি তৃণমূল নেতা আনারুল শেখের হয়ে কাজ করেছে। ২০২২ সালে বীরভূমের রামপুরহাটে বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর এই আনারুল শেখকে কড়া শাস্তি দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের পদ থেকে সরানো হয়েছিল। সেই আনারুলের সঙ্গে কেতুগ্রামের নিহত তৃণমূল নেতার এই যোগাযোগ নিঃসন্দেহে তদন্তে নতুন মোড়। ভোটের আগের দিন হত্যাকাণ্ডে অবশ্য সিপিএম জমানার রক্তাক্ত দিন ফিরে এসেছে বলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তৃণমূল।
ভোটের আগের রাতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ((Bolpur Lok Sabha) অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামের মিন্টু শেখকে বোমা মেরে, কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাত ৮টা ৪৫ নাগাদ চেঁচুড়ি গ্রামের আনকোনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে বাইকে ফেরার সময় আঙ্গাই শেখ নামে একজন বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। রাতেই তদন্তে নামে কেতুগ্রাম (Ketugram) থানার পুলিশ। সকালের দিকে এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। তাঁদের নাম ভুলন শেখ এবং সামসুল হক। এদের মধ্যে ভুলন সিভিক ভলান্টিয়ার বলে জানা গিয়েছে।
এনিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) পুলিশ রিপোর্ট চেয়ে পাঠালে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরে হত্যাকাণ্ড। তবে মিন্টু শেখ হত্যায় সিপিএমকে দায়ী করে কড়া ভাষায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তৃণমূল (TMC)। মনে করানো হয়েছে তাদের ৩৪ বছরের শাসনকালের ইতিহাস। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের হার্মাদরা গত ৩৪ বছরের ইতিহাস থেকে রক্তাক্ত এক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি। এখন এসব ঘটিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করছে সিপিএম (CPM)। উদ্দেশ্য একটাই, ফের বাংলায় সেসব কালো দিন ফিরিয়ে আনা। কমিশনকে আর্জি, দ্রুত এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হোক।