জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিন পাঁচেক হয়ে গেল। এই ঘটনা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। যা ঘটেছিল তা নিয়ে চর্চা হওয়াই স্বাভাবিক। আরও একবার পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া যাক। লখনউ সুপার জায়েন্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (LSG vs SRH) শেষ সাক্ষাত হয়েছিল গত বুধবার, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। খেলা শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায় যে, লখনউ দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka) স্ট্যান্ড থেকে নেমে আসেন মাঠে। তারপর ভরা স্টেডিয়ামে তিনি তীব্র ভর্ৎসনা করেন তাঁর অধিনায়ক কেএল রাহুলকে (KL Rahul)! রাহুল চুপ করে সব শুনে যান। গোয়েঙ্কা ঠিক কী বলেছিলেন রাহুলকে তা শোনা যায়নি বটে, তবে তাঁদের কথোপকথনের, বলা ভালো একজনেরই কথা বলার ধরন ও অঙ্গভঙ্গি দেখে সাফ বোঝাই গিয়েছিল যে, মালিক অগ্নিশর্মা হয়েই দলের অধিনায়ককে ধুয়ে দিয়েছেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। মালিকের অপ্রত্য়াশিত আচরণ নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ধুয়ে দিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag)। শেহওয়াগ যেভাবে ব্য়াট করতেন, ঠিক সেভাবেই দেন সাক্ষাৎকার। কাউকে রেয়াত করেন না। অকপট ও ঠোঁটকাটা মানুষ তিনি। এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে সঞ্জীব-রাহুল কাণ্ডে মুখ খুলেছেন তিনি। প্রাক্তন ভারতীয় তারকা বলেন, 'দেখুন মালিক তার দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে ও সাংবাদিক বৈঠকে দেখা করবে। এটাই ভূমিকা হওয়া উচিত। তারা প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলবে মোটিভেট করার জন্য়। কিন্তু মালিক যদি এসে জিজ্ঞাসা করে যে, দলে কী চলছে? তাহলে সমস্য়া কোথায়? বা ম্য়ানেজমেন্টের কাউকে ধরে যদি কোনও নির্দিষ্ট প্লেয়ারকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যে, তাহলে মুশকিল। কোচ এবং ক্য়াপ্টেন দল চালায়। মালিকদের এসবের মধ্য়ে না ঢোকাই ভালো। দেখুন এরা সবাই ব্য়বসায়ী। এরা শুধু লাভ-লোকসান বোঝেন। ৪০০ কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করে ফেলেছেন! এটা ব্য়বসা। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই। আপনার দলে লোক আছে, তাঁরা এসব বুঝে নেবে। যাই হোক না কেন আপনি তো মুনাফা অর্জন করছেনই। আপনার কাজই হবে খেলোয়াড়দের মোটিভেট করা। এরকম কিছু ঘটলে প্লেয়াররা বুঝে নেয়, যে এবার বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে তাঁর কথা বলার সময় এসেছে। আমি যদি ছেড়েও দিই দল, অন্য় কেউ আমাকে নিয়ে নেবে। প্লেয়ার হারালে জেতার সম্ভাবনা শূন্য় হয়ে যায়। আমি যখন পঞ্জাব ছাড়ি তখন দল পাঁচে ছিল। এরপর আর কোনও মরসুমে তারা পাঁচে আসেনি।'সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই নেটপাড়া বারবার একটা কথাই বলেছে, মালিক হলে হওয়া উচিত শাহরুখ খানের মতো। সকলের শেখা উচিত যে, কীভাবে কিং খান তাঁর টিমের প্লেয়ারদের সঙ্গে আচরণ করেন। দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীরও জানিয়েছেন যে, শাহরুখ কোনও বিষয়ে নাক গলান না। তিনি শুধু মন খুলে খেলার মন্ত্রই ঢেলে দেন কানে। প্লেয়ারদের দেন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।