• মৌ রায়চৌধুরীর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার
    আজকাল | ১৪ মে ২০২৪
  • ‌আজকাল ওয়েবডেস্ক: উজ্জ্বল উপস্থিতি। সেদিনও, আজও। গত ২৮ মার্চ আজকাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন সকলের মাঝে। এদিন সোমবারও তিনি থাকলেন সকলের মাঝেই। তবে সশরীরে নয়। হাসিমুখে, ফ্রেমে বাঁধানো হয়ে। তিনি মৌ রায়চৌধুরী। গত ৭ মে যার অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ আজকাল, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। তিনি ছিলেন আজকাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর, আজকাল ডট ইন পোর্টালের প্রধান সম্পাদক, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো–চেয়ারপার্সন এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির গভর্নিং বডির সদস্য। কতটা তিনি ভালবাসতেন তাঁর আজকালকে? বা তাঁর সহকর্মীরাই বা তাঁকে কতটা ভালবাসতেন? এটা আলাদা করে আর বলার দরকার পড়েনি। স্মরণসভার পরিবেশটাই এর উত্তর দিয়ে দিয়েছে। সোমবার আজকাল ভবনে তাঁর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আজকাল পত্রিকার সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত বলেন, ‘‌ওঁর উৎসাহটা ছিল একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত। ওঁর থেকে যেটা আমরা নিতে পারি।’‌ তাঁর আক্ষেপ, ‘‌অনেক শোকসভায় থেকেছি। এই প্রথম এত কমবয়সী কারুর স্মরণসভায় থাকতে হচ্ছে।’‌ টেকনো ইন্ডিয়া’‌র গ্রুপ সিইও শঙ্কু বোস বলেন, ‘‌সবাই জানে আজকাল তাঁর কতটা ভালবাসার জায়গা ছিল। আজকাল নিয়ে তাঁর যে স্বপ্ন ছিল সেটাকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’‌ এরকম একটা দিন ছিল সকলের কাছেই কল্পনার অতীত। অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‌স্মরণসভা আমি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলি। কিন্তু আজ এমন একজনের জন্য আসতে হল যে এই দিনটা হয়ত জীবনে না এলেই ভাল হতো। আমরা খুব হাসাহাসি করতাম। আজ চোখটা জলে ভরে গেছে।’‌ প্রশাসক মৌ রায়চৌধুরী ছিলেন সাহিত্যিকও। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একাধিক বই। তাই তাঁর স্মৃতিচারণায় আরেক সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত বলেন, ‘‌দেখেছি তিনি লেখার জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন। লেখা নিয়ে কতটা খুঁতখুঁতে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত লেখক। যেটা তিনি ভাবতেন সেটা তিনি সহজ ভাষায় প্রকাশ করতে পারতেন।’‌ মৌ রায়চৌধুরী স্বপ্ন দেখতেন। আজকালকে নিয়ে। তাকে আরও বড় করার, আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তাই সাংবাদিক দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‌সুস্থ, সফর, খেলা যেন এক নম্বর হিসাবে স্বীকৃতি পায় সেটাই তিনি বলতেন। তাঁর ইচ্ছাগুলিকে মান্যতা দিতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাটা করব।’‌ ভাস্কর রায় তাঁর অদম্য প্রাণশক্তির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন অলোকপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম রায়, বিশ্বরঞ্জন সরকার, তপোব্রত ঘোষাল, তপশ্রী গুপ্ত। সঞ্চালনা করেন শ্যামলী আচার্য। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মৌ রায়চৌধুরীর প্রাণসখা। এদিনের সভায় আজকাল কর্মী অঙ্গনা ঘোষ গাইলেন, ‘‌তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগনের তারা।’‌ শপথ নিল আজকাল। মৌ রায়চৌধুরীর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
  • Link to this news (আজকাল)