এ বার ডেঙ্গির ‘ডেন থ্রি’ ভ্যারিয়্যান্টের হদিস মিলল আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এত দিন কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্রত্যেকের মধ্যে ‘ডেন টু’ ভেরিয়্যান্টের প্রকোপ দেখা যাচ্ছিল। ডেঙ্গি-আক্রান্তদের বাড়িতে ঠিকঠাক চিকিৎসা মিললে তাঁরা সুস্থ হয়ে যেতেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি কালচিনি ব্লকের
৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করার পরে, তিন জনের মধ্যে ‘ডেন থ্রি’ ভ্যারিয়্যান্টের সন্ধান মিলেছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ক্ষেত্রে রোগের বাড়াবাড়ি বেশি হওয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় বেশির ভাগ সময়ে।
বর্ষার আগেই কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫২। যার মধ্যে ৪৪ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে কালচিনি ব্লকেই। ব্লকে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আক্রান্ত কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে (১৪)। কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ডেন থ্রি ভ্যারিয়্যান্টের প্রকোপ এ বার ব্লকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছুটা চিন্তায় রয়েছি এবং সাধারণ মানুষকে নিয়মিত এ নিয়ে সচেতন করছি।’’ সূত্রের দাবি ,এর পরে ডেঙ্গি রুখতে আরও সতর্কতা বেড়েছে জেলায়। ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা অবলম্বন না করলে, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কালচিনি ব্লক প্রশাসন।
সোমবার ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জ, কালচিনি, হাসিমারা এলাকায় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। কোথাও যাতে জমা জল, আবর্জনা না থাকে এ নিয়ে সকলকে সচেতন করার বার্তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এ দিন
একাধিক মাছ বাজার, টায়ারের দোকান-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান ওই আধিকারিকেরা।কালচিনির বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেছেন, ‘‘সোমবার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আগামীতে চা বাগানের ম্যানেজার ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করব আমরা, যাতে তাঁদের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যায়। এর পরেও যদি কেউ সচেতনতা অবলম্বন না করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। কারণ কারও উদাসীনতার কারণে বাকিদের সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিতে পারি না আমরা।’’