চতুর্থ দফায় পৌঁছে ফের ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলেও তা চলে যাচ্ছে বিজেপিতে। তবে তাঁরা তা ধরে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, এই অভিযোগে তৃণমূলের পরাজয়ের অনিবার্যতাকেই মেনে নিয়েছেন মমতা।
নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গোড়া থেকেই দলের অসন্তোষ সামনে এনেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ইভিএমে বদল নিয়ে বিজেপি-বিরোধীদের আগেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। সোমবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে আয়োজিত সভাতেও তিনি বলেন, “আমরা হাতে-নাতে ধরে ফেলেছি, তৃণমূলে ভোট দিচ্ছে আর বিজেপিতে গিয়ে ভোট পড়ছে। আমরা ইভিএম বদল করিয়েছি।” সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষে ‘ভোট করানোর’ অভিযোগও করেছেন তিনি। যদিও সোমবার বিকেলে ভোট শেষে, দলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আজ দু’-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সর্বত্র খুব ভাল ভোট হয়েছে।”
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবীণ, দূরদর্শী রাজনীতিক। তিনি বাংলার বাস্তবতা বোঝেন। আগামী ৪ জুন সন্ধ্যায় তাঁর দলের মুখপাত্রের যে বিবৃতি দিতে হবে, আজ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেটাই বেছে দিলেন।”
মতুয়া ভোটের সিংহভাগ বিরুদ্ধে যাওয়ায় বনগাঁ লোকসভা হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। এ দিন সেই কেন্দ্রে প্রচারে মমতা বলেন “এখনও যা ভোট হয়েছে, তাতে তুমি (বিজেপি) আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।” তাঁর সংযোজন, “বিজেপি ১৯০ থেকে ১৯৫–এর বেশি পাবে না। পগারপার হবে। ‘ইন্ডিয়া’ ৩১৫টি আসন পাবে।”
এ দিন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের পলতায় দলীয় প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। এখানে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির অর্জুন সিংহ। এ দিন নাম না করে অর্জুনকে নিশানা করেন তিনি। কেন্দ্রের সরকারকে বিঁধে বলেন, “বিজেপি কী বলে ভোট চাইছে? বাবুসাহেবের গ্যারান্টি!” প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, “দশ বছর পরে নতুন করে গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে! এই দশ বছর পাত্তা ছিল না।” মোদীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করে মমতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অন্যায় করলে কী করা উচিত। ভোট বাক্সে ভোট উল্টে দিয়ে জব্দ করতে হবে।”