• সিবিআই যেতেই পুকুরে ফেলেছিলেন মোবাইল, সেই জীবনকৃষ্ণ পেলেন জামিন
    আজ তক | ১৪ মে ২০২৪
  • লোকসভা ভোটের মাঝেই জামিল পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর হয়ে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহা। টাকা নিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালাত। তার পর জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। একাধিকবার তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি পিছিয়ে যায়। 

    জামিনের আর্জির শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পুকুরে জীবনকৃষ্ণ ফোন ফেলেছিলেন। সেই ফোন উদ্ধার করা হয়। দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল পুলিশ।  

    বলে রাখি,গত ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে তল্লাশি। সিবিআই জানায়, তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণকে। বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন দু'টি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাড়ির একটি ঘরই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির ভরকেন্দ্র। 

    তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সিবিআই তল্লাশির সময় নিজের দু'টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। দু'দিন ধরে পাম্প চালিয়ে পুকুর থেকে জল ছেঁচে তোলা হয়। কাদা ঘেঁটে উদ্ধার করা হয় দু'টি মোবাইল। তবে শেষরক্ষা হয়নি! তবে ফোনের তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। 
  • Link to this news (আজ তক)