চলে গেলেন দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি! ভিক্ষাগ্রহণের জগতে যুগান্তর এনেছিলেন 'ই-ওয়ালেটওয়ালা' রাজু...
২৪ ঘন্টা | ১৪ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত যদি এগিয়ে যায় তবে ভারতের ভিখারি কি পিছনে পড়ে থাকতে পারে? পারে না। পারেনিও। রাজু পটেলকে মনে পড়ে? তিনি ভারতের প্রথম ডিজিটাল বেগার, মানে ডিজিটাল ভিখারি! যিনি কিউআর কোডের মাধ্যমে দাতাদের থেকে টাকা নিতেন। ভাবাই যায় না! হাত পেতে দাঁড়ানোর কোনও ব্য়াপারই নেই। ফিতে দিয়ে গলায় ঝোলানো কিউআর কোডের বোর্ড। সেই নিয়ে উনি ঘুরে-ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেন। দেখে কে বলবে, ভিখারি! বছরএকচল্লিশের এই ডিজিটাল ভিখারি মারা গেলেন। হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেলেন তিনি।
সারা পৃথিবী ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। সাধারণ সম্পর্কের মধ্যে, সাধারণ কাজকর্মের মধ্যেও ডিজিটাল দুনিয়া ঢুকে পড়েছে। রাজু পটেলও সেই মতো নিজেকে বদলে নিয়েছেন। তিনি একবার বলেছিলেন, তিনি ছোট থেকেই ভিক্ষে করছেন, তবে, ভিক্ষের মোড তিনি সময়ের সঙ্গে বদলে ফেলেছেন। এখন ডিজিটাল এজ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি ডিজিটাল পদ্ধিতে ভিক্ষে করছেন।তিনি তখনই বলেছিলেন, ভিক্ষের কাজ মিটে গেলে তিনি স্টেশনেই ঘুমোন। বেঠিয়া রেলস্টেশনই তাঁর আশ্রয়। বেঁচে থাকার আর কোনও উপায় তিনি খুঁজে পাননি। ফলে ডিজিটাল ব্যবস্থাটাই তাঁর পক্ষে সুবিধাজনক। শুধু তাই নয়। তাঁর প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হল, লোকের কাছে টাকা-পয়সা চাইলে তাঁরা প্রায়ই অনুযোগ করতেন যে, খুচরো নেই, ছোট নোট নেই। তখন বাধ্য হয়ে তাঁকে ই-ওয়ালেটের শরণাপন্ন হতে হল। তবে তিনি তার পরেও খেয়াল করে দেখেছেন, এক অংশের লোক তাঁকে সেই ক্যাশই দেন। তবে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এই ডিজিটাল লেনদেনের দুনিয়ায় টাকা-পয়সা সঙ্গে নিয়ে ঘোরার কোনও মানেই হয় না। তাই তিনি ব্য়াংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই ফোন-পে ব্যবস্থায় সরে আসেন। রাজু প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভক্ত ছিলেন। তাঁর 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে'র প্রশংসা করতেন তিনি। নিয়মিত শুনতেন তাঁর 'মন কি বাত'।