'বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা এক জিনিস'!
২৪ ঘন্টা | ১৪ মে ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: পুরুলিয়ায় ভোট-প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়। বললেন, 'বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা এক জিনিস'। বিজেপি প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ, 'এই জেলায় তৃণমূল আশানুরূপ ফল করেনি। লোকসভায় জিতেছে, বিধানসভায় তোমাদের দলের সদস্য সংখ্যা এই জেলায় বেশি। কিন্তু উন্নয়নের কাজের নিরিখে এসো। জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, তোমার বাগমুন্ডিতে বাড়ি। সেখানেই মঞ্চ করে বিতর্ক হোক'।
২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট পুরুলিয়ায়। সঙ্গে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, মেদিনীপুর, তমলুক, ঘাটাল, বিষ্ণুপুরে। গতবার লোকসভা ভোটে পুরুলিয়া কেন্দ্রটি গিয়েছিল বিজেপির দখলে। জিতেছিলেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। এবারও তিনি-ই প্রার্থী। বিপক্ষে তৃণমূলের প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত।পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় অভিষেক বলেন, 'কুড়মিদের জাতিসত্ত্বার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পাঁচ বছর হয়ে গেল, প্রধানমন্ত্রীর কথা ছেড়ে দিন, এলাকার সাংসদ যিনি ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছেন, তিনিও কিছু করেননি। কোভিডের সময় সাংসদ পলাতক। এক বছরে ১০ মাস থাকে রাঁচীতে। আর এখন ভোট চাইতে এসেছে'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'বিজেপি জিতবে না, জিতবে তৃণমূল'।অভিষেকের কথায়, 'অতীতের অভিজ্ঞতা আপনাদের হয়েছে। বিধানসভায় আমরা মাত্র তিনটি আসন এখানে জিতেছি। ছয়টা আসনে হেরেছি। এই জ্যোর্তিময় সিং মাহাত, লোকসভায় জিতেছে। বিধানসভায় বাংলায় জেতেনি। তাই টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানী বিধি কার্যকর হলে আদিবাসী, কুড়মি, ভূমিজ, তফশিলী মানুষরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে। আদিবাসী, ভূমিজদের বঞ্চিত করেছে। বাংলা জুড়ে ৫৯ লক্ষ মানুষের ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি। জাতিসত্ত্বার আন্দোলনকে এরা স্বীকৃতি দেয়নি'।বাদ যায়নি সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। অভিষেক বলেন, 'মায়েরা সন্দেশখালির স্টিং ভিডিও দেখেছেন? এরা সন্দেশখালি নিয়ে খালি চিৎকার করত। একটা দল এত নিম্ন মানের হতে পারে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহিলাদের সম্মান, সম্ভ্রম দিল্লির কাছে ছোট করেছে জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর দল'।