পাঁচতারা হোটেলে নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ বোসের! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে 'বিস্ফোরক' রিপোর্ট...
২৪ ঘন্টা | ১৪ মে ২০২৪
পিয়ালি মিত্র: আরও অস্বস্তিতে রাজ্যপাল। 'শ্লীলতাহানি' কাণ্ডের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে। কলকাতা পুলিসের তরফে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এক ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। খবর সূত্রের। নবান্ন সূত্রে খবর, এক নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, গত বছর ৫ ও ৬ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান রাজ্যপাল। তাঁকে একটি পাঁচতারা হোটেল রাখার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যপালের বেঙ্গালুরুর এক আত্মীয় হোটেলের রুম বুক করেন। সেই হোটেলেই ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই নৃত্যশিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান চালাচ্ছিল ডিসি পদপর্যদার এক অফিসারের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিসের একটি টিম। সেই ধর্ষণ মামলার অনুসন্ধানের রিপোর্ট-ই এবার জমা পড়েছে নবান্নে। শ্লীলতাহানি ইস্যুর মধ্যেই এই ঘটনা যে রাজ্যপালের আরও অস্বস্তি বাড়াল তা বলাই বাহুল্য।প্রসঙ্গত, ২ মে, ঘটনার দিন রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী। কলকাতা পুলিসের হাতে এসেছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজটি বিকেল ৫.১৫ মিনিটের। যেখানে তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণী স্পেশাল সেক্রেটারির চেম্বারে যান। সেখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তাঁকে কাঁদতে-কাঁপতে দেখে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। সেখানে ১০ মিনিট ছিলেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী ওসি রাজভবনের ঘরের দিকে যান।উল্লেখ্য, রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি দিয়েছিল লালবাজার। কিন্তু 'সচ কা সামনা' বলে এক অনুষ্ঠানের ঘোষণা করে 'পুলিসকে নয়,জনতাকে ফুটেজ দেখানো'র সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। এজন্য ই-মেল আইডি ও ফোন নম্বর জানিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়। বলা হয়, প্রথম ১০০ জন আবেদনকারীকে রাজভবনের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে। তারপর বিকেল ৫.৩২ থেকে ৬.৪১ মিনিট রাজভবনের দুটি ফুটেজ দেখানো হয়। ভিডিয়ো দেখার জন্য আবেদন করেছিলেন ৬৩ জন, কিন্তু এসেছিলেন মাত্র ৩ জন। "সচ কা সামনা" বলে ওই অনুষ্ঠানে ২ মে, যেদিন ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেদিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে রাজভবন। তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ মূলত রাজভবনের মেইন গেটের পুলিসের আউটপোস্ট সংলগ্ন দুটো সিসিটিভির। যেখানে অভিযোগকারিণী রাজভবনের দিক থেকে হেঁটে ওসি রাজভবনের ও অতিরিক্ত চেম্বারে কখন ঢুকছেন তা দেখানো হয়। সেখানে যদিও তরুণীর কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসার ফুটেজটি দেখানো হয়নি। শ্লীলতাহানি অভিযোগের তদন্তে কলকাতা পুলিসের পালটা হাতিয়ার রাজভবনের ভিতরের এই অন্য সিসিটিভি ফুটেজটি। পুলিস সূত্রের আরও, সেদিন বিকেলে ৪টে থেকে সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজ্যপালের চেম্বারে ঘটনাটি ঘটে। তারপরের পরের ঘটনাক্রম সম্পর্কে ওই তরুণী যা দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি মিলেছে রাজভবনের এক শেফের বয়ানেও।