স্টাফ রিপোর্টার: লোকসভা নির্বাচনে কর্মীদের ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু বিজেপিকে পেতে হবে ৩৭০ আসন। আর এনডিএ (NDA) জোটকে পেরোতে হবে, ৪০০। কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য বলছে, মোদির এই ৪০০ আসনের টার্গেট চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে কর্মীদের উপর। এর বিরূপ প্রতিক্রয়া দেখা যাচ্ছে বাস্তবের মাটিতে। যদিও সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
শহরে A Transformational Decade শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এসে বিদেশমন্ত্রী বললেন, ক্যাডারভিত্তিক দলে এই ধরনের টার্গেট বেঁধে দিতেই হয়। লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় যাতে সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সামগ্রিকভাবে সংগঠন মাঠে নামে, ভোটের কাজে অংশগ্রহণ করে। দলের অন্দরে কোনওরকম জড়তা না থাকে।
জয়শংকরকে প্রশ্ন করা হয় শচীন তেণ্ডুলকর যদি প্রত্যেকটি পাকিস্তান ম্যাচের আগে সেঞ্চুরি করারই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামেন তাহলে তো সেটা বাড়তি চাপ নিয়ে নেওয়া! জবাবে জয়শংকর বলছেন, বিষয়টি ইতিবাচক দিক থেকে দেখা উচিত। অর্ধেক গ্লাস জলকে অর্ধেক খালি না বলে অর্ধেক ভর্তি হিসেবেই দেখা এবং দেখানো উচিত। গোটা বিষয়টিকে জয়শংকর বাড়তি চাপ হিসাবে না দেখে, ইতিবাচক দিক থেকেই দেখতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৪০০ পারের লক্ষ্যমাত্রা দিলেও প্রথম দুই দফায় ভোটের হার কম হওয়ায় মোদির মুখ থেকে সেভাবে সেই স্লোগান শোনা যায়নি। চতুর্থ দফার ভোটের পর আবার মোদি-শাহরা বলতে শুরু করেছেন ৪০০ পারের টার্গেটের কথা। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়া না হওয়া পরের ব্যাপার। তবে জয়শংকর মনে করছেন, এই ধরনের টার্গেট থাকা উচিত।