• প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনে স্মারকলিপি তৃণমূলের
    আজকাল | ১৫ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক, দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লাগাতার আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখলে নির্বাচন কমিশনে আজ স্মারকলিপি জমা দিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, পরপর আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে কমিশন। তৃণমূলের তরফে আরও বলা হয়েছে, লাগাতার নীরব দর্শক থাকায় মডেল কোড অফ কনডাক্ট পরিণত হয়েছে মোদি কোড অফ কনডাক্টে।২১ মার্চ, ২৮ মার্চ এবং ৪ মে নির্বাচন কমিশনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে আজকের চিঠিতে। পাশাপাশি তৃণমূলের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে ভোট প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ মে তেলেঙ্গানায় প্রধানমন্ত্রীর প্রচারসভার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় ভোট প্রচারে কংগ্রেসকে হিন্দু বিরোধী বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যে সমস্ত দল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছে, তারা ভোট জিহাদকে তুলে ধরছে। তৃণমূলের দাবি, "এইভাবে সরাসরি ধর্মীয় লাইনে হেঁটে ভোটপ্রচার করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।" প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের পোর্টালের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের চিঠিতে। কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে আর্থিক প্রকল্প নিয়ে যে কথোপকথনের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেছে তৃণমূল।নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার পর সাগরিকা ঘোষ বলেন, 'বিজেপি নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার করছেন, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন। তিনি এমন শব্দ ব্যবহার করছেন যেগুলি আচরণবিধি অনুযায়ী নিষেধ। দেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই বারবার এটা করছেন।' তাঁর কথায়, "প্রধানমন্ত্রী মোদি আর্থিক প্রকল্প নিয়েও ঘোষণা করছেন। সেটা একেবারেই উচিত নয়। এখনও পর্যন্ত আমরা নির্বাচন কমিশনে তিনটি চিঠি দিয়েছি। আমরা সেগুলির কোনও জবাব পাইনি। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতারা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, সেটা বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়েছি।" সাগরিকার কথায়, "মডেল কোড অফ কনডাক্ট এখন পরিণত হয়েছে মোদি কোড অফ কনডাক্টে।" সাকেত গোখলে বলেন, "বিগত কয়েক সপ্তাহে আমরা নির্বাচন কমিশনে একাধিক চিঠি দিয়েছি। রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য এবং ঘৃণা ভাষণ দিয়েছেন। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না নির্বাচন কমিশন। শুধুমাত্র বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।'
  • Link to this news (আজকাল)