• আন্তর্জাতিক অস্বস্তি, অনুমোদন পেল না মানবাধিকার কমিশন
    আজকাল | ১৫ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক, দিল্লি: ভারতের মানবাধিকার কমিশনে ধাক্কা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি আবারও পিছিয়ে দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অফ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস বা জিএএনএইচআরআই। এই নিয়ে পরপর ২ বছর সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা। এরফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ সহ বেশ কিছু সংস্থায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রের সমস্যায় পড়বে ভারত। নিজেকে বিশ্বগুরু বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা মোদির ভারতে মানাবাধিকার কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।গত ১ মে এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে উপস্থিত ছিল নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, হন্ডুরাস এবং গ্রিসের মতো দেশগুলি। বৈঠকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাব, কমিশনে সংখ্যালঘু এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে নিয়োগে সাম্যতা না থাকার কারণে ভারতের মানবাধিকার কমিশনকে এখনই অনুমোদন দিতে নারাজ রাষ্ট্রপুঞ্জ। সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। সূত্রের খবর, কমিশনে বেশ কিছু পরিবর্তন করার প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। লোকসভা ভোট প্রক্রিয়া চলার কারণে সেগুলি এখনই কার্যকর করা সম্ভব নয় বলে দাবি মানবাধিকার কমিশনের। আগামী সেপ্টেম্বর অথবা পরের বছরের মে মাসের বৈঠকে এই বিষয়ে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশাবাদী কমিশন।এদিকে, অনুমোদনের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়ার পরেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, "এটা খুবই দুঃখ এবং লজ্জার যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্বীকৃতি দিল না জিএএনএইচআরআই। একটি স্বীকৃত মানবাধিকার কমিশন হিসেবে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া স্থগিত হয় ২০২২ সালে, এরপর আবার ২০২৪। জিএএনএইচআরআই জানিয়েছে, সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এটাই কমিশন এবং ভারত সরকারে ধাক্কা।" তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের বক্তব্য, "দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক পরিস্থিতি তথাকথিত স্বাধীন সংস্থাটির। অবসরের পর কোনও মোদিভক্তকে কমিশনের প্রধান এবং মানবাধিকার কমিশনকে বিজেপির শাখায় পরিণত করার এটাই পরিণতি। বিজেপির নির্দেশমতো বাংলা সহ বিরোধী শাসিত রাজ্য সম্পর্কে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরির জন্য পাঠানো হয় মানবাধিকার কমিশনকে। যদিও বিজেপি শাসিত রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে নীরব থাকে কমিশন। এটা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বড় ধাক্কা এবং তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা উচিত মোদির সংকীর্ণ রাজনীতির প্রতি।"
  • Link to this news (আজকাল)