গোবিন্দ রায়: বাড়ছে প্রতিযোগিতা। বাড়ছে মানসিক চাপ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতাও। বিশেষত বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। যা নিয়ে এবার জনস্বার্থে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
মামলাকারীর দাবি, আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ?মেন্টাল হেলথ কেয়ার? নামক সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, এই প্রবণতা রুখতে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সাত বছর কেটে যাওয়ার পরও এরাজ্যে কেন্দ্রের এই আইন প্রণয়ন হয়নি। তাই এই আইন প্রণয়নের দাবি এবং আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে হাই কোর্টে এই মামলা হয়েছে বলে জানান মামলাকারী।
গত বছর সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, আইআইটি, এনআইটি বা আইআইএম-সহ নানা ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে এইমসের বিভিন্ন শাখায় কমপক্ষে আরও ১৩ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে বেড়ে চলা প্রতিযোগিতায় নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতেই পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বাড়ছে। বিশেষত বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।