নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে মতুয়াদের পরামর্শ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ কাজে কোনও সমস্যা হলে শান্তনু ঠাকুরের কাছে যেতে বললেন।
মঙ্গলবার বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে বনগাঁ শহরের আরএস মাঠে সভা করেন অমিত শাহ। হেলিকপ্টারে বনগাঁর কিসান মান্ডিতে নেমে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক পথে গাড়িতে সভাস্থলে পৌঁছন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বনগাঁ শহরে পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার জন মোতায়েন ছিলেন। কিসান মান্ডি থেকে বেরিয়ে বনগাঁ-বাগদা সড়ক হয়ে যশোর রোড ধরে, বনগাঁ স্টেশন রোড হয়ে শাহের কনভয় সভাস্থলে পৌঁছয়। রাস্তার দু’পাশে পুলিশ দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রেখেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দু’পাশে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। শাহ গাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের দিকে হাত নাড়েন। এ দিনের সভায় শান্তনু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল, দলীয় দুই বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এবং সুব্রত ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।
শাহ এ দিন মিনিট ২০ বক্তৃতা করেন। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর, বড়মাকে প্রণাম জানান বক্তৃতার শুরুতেই। পরে বলেন, ‘‘তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা। আর আমাদের ভোটব্যাঙ্ক তো হরিচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া সমাজের মানুষ।’’
শাহ জনতার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘আপনারা চাল পাচ্ছেন তো?’’ তারপরেই বলেন, ‘‘মমতাদিদি মিথ্যা বলছেন, চাল নাকি তিনি দিচ্ছেন। চাল দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।’’
রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িতরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন, কাউকে ছাড়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘‘সিন্ডিকেট, বোমা-ধামাকা, গুন্ডাগিরি, অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক আপনারা কি চান না? মমতাদিদি এ সব বন্ধ করতে পারবেন না। পারবেন নরেন্দ্র মোদী।’’ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, এ দিনের সভায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ এসেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁর প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস পরে বলেন, ‘‘যাঁরা হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে মানেন না, তাঁদের কাছ থেকে মতুয়াদের নিয়ে কথা মানায় না। নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি মতুয়াদের ভাঁওতা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, বিজেপি মতুয়াদের ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করে।’’