• উড়ালপুল থেকে উদ্ধার অভিমানী কিশোরী, ফেরানো হল পরিবারে
    আনন্দবাজার | ১৫ মে ২০২৪
  • উড়ালপুলের ব্যস্ত রাস্তা। অফিস ফেরত গাড়ির ভিড়ে এগোনোই দুষ্কর! সেই ভিড়ের মধ্যেই উড়ালপুলের রাস্তা ধরে দৌড়চ্ছে এক নাবালিকা। বেশ কিছুটা দৌড়ে যাওয়ার পরে উড়ালপুলের ধারে দাঁড়িয়ে নীচে উকিঝুঁকি দিতে শুরু করল সে। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ উল্টোডাঙা উড়ালপুলে এই দৃশ্য দেখে লালবাজারে খবর দিয়েছিলেন পথচলতি লোকজন। লালবাজারের তরফে উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ড এবং মানিকতলা থানায় খবর দেওয়া হয়। যদিও তত ক্ষণে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দ্রুত ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর সতেরোর ওই কিশোরী উল্টোডাঙার বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় বাবা-মা তাকে বকুনি দেন। তাইরাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই কিশোরী। এর পরে হাঁটতে হাঁটতেই সে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কাছে চলে আসে। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে দৌড়ে সোজা উঠে যায় সেতুর উপরে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, উড়ালপুলের

    উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওই কিশোরীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উড়ালপুলের নীচে ই এম বাইপাসে সে সময়ে ডিউটিতে ছিলেন ট্র্যাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী। ভিভিআইপি-দের চলাচলের জন্য পুলিশের একটি বিশেষ দলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পথচলতি লোকজনের মুখে ওই কিশোরীর কথা শুনেই সোজা গাড়ি নিয়ে তার কাছে পৌঁছে যান তিনি। তার আগেই লালবাজারে খবর চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে চলে আসেন মানিকতলা থানার দুই মহিলা পুলিশকর্মী। তাঁদের উদ্যোগেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নীচে নামিয়ে আনা হয়। ওই নাবালিকা ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেই ওই নাবালিকাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর পরে তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয় সেখানে। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। তার পরে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কোনও মামলা রুজু হয়নি বলে মানিকতলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। থানার এক আধিকারিক বলেন, "বাড়িতে বকাবকি করায় মেয়েটির অভিমান হয়েছিল। ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।"
  • Link to this news (আনন্দবাজার)