• সন্দেশখালির মাম্পি দাস এ বার কলকাতা হাই কোর্টে, গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আবেদন বিজেপি নেত্রীর
    আনন্দবাজার | ১৫ মে ২০২৪
  • গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। মঙ্গলবারই তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে আবেদন করেছেন মাম্পি।

    সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে এই স্থানীয় বিজেপি নেত্রী মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতিই সন্দেশখালির এক গৃহবধূ সেই অভিযোগ করেছিলেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানোও হয়।

    মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম বলেছিলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালও। গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিয়োতে মাম্পির ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন গঙ্গাধর। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। পরে সন্দেশখালি থেকে প্রকাশ্যে আসা একের পর এক ভিডিয়োতেও অভিযোগকারিণীরা যখন নিজের অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন (আনন্দবাজার অনলাইন সেই সমস্ত ভিডিয়োরও সত্যতা যাচাই করেনি ), তখনও প্রকাশ্যে এসেছে মাম্পির নাম। যদিও সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী নিজে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

    সম্প্রতি সন্দেশখালি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল, সেখানেও রয়েছে মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম। অভিযোগে তৃণমূল লিখেছিল, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা সন্দেশখালিতে এসে সেখানকার মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিলেন। যার সাহায্যে ‘ভুয়ো নির্যাতনের’ অভিযোগ দায়ের হয়। কমিশনে তৃণমূল জানিয়েছে, ওই কাজে রেখার সহযোগী ছিলেন পিয়ালিও।

    বেগতিক বুঝে গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার আগে ভাগে বসিরহাট আদালতে জামিন চাইতে যান পিয়ালি। কিন্তু আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বুধবার এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে মামলা করার আবেদন জানান মাম্পি। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)