গোবিন্দ রায়: জামিন চাইতে গিয়ে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি এবং জেলযাত্রা। এর বিরোধিতায় এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাস। তাঁর তরফে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে সব জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। কিন্তু তিনি বসিরহাট আদালতে জামিন চাইতে গেলে পুলিশ শেষ মুহূর্তে জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে। নিম্ন আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর বিরোধিতায় হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেত্রীর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করার অভিযোগে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির নাম প্রকাশ্যে আসে। তিনিই অন্যদের দিয়ে ভুয়ো মামলা দায়ের করিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। মঙ্গলবার সেই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে বসিরহাট আদালতে যান পিয়ালি, আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু পিয়ালির জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছেন পিয়ালির স্বামীর। তাঁর দাবি, পিয়ালিকে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার কারণেই নাকি এই গ্রেপ্তারি। এর বিরোধিতা করেই উচ্চ আদালতে (Calcutta HC) মামলা করলেন পিয়ালি।
এদিকে, বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগে তিনিও বুধবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর। পৃথক আবেদনে তাঁর আইনজীবীর দাবি, রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে এমন কত মামলা আছে, সেই তালিকা দিক পুলিশ। একইসঙ্গে, প্রার্থীর নিরাপত্তার আবেদনও করা হয়েছে হাই কোর্টে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলা গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে।