রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভোটের মাঝে আচমকা তৃণমূলের দুই প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তুলল বিজেপি। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ঘাসফুল শিবিরের দুই প্রার্থীর মনোনয়নে গলদ রয়েছে। তাই তাঁদের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন বিজেপির প্রার্থীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং বসিরহাটের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission of India) আবেদন জানিয়েছেন দুই বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ও রেখা পাত্র। বিজেপির আশা, কমিশন সব দিক খতিয়ে দেখে তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করবে।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বসিরহাটের সাংসদ ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে আর তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ফের ঘাসফুল শিবিরের সৈনিক হাজি নুরুল ইসলাম। বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, মনোনয়নের সময় নো ডিউ সার্টিফিকেট (No Due Certificate) দেননি তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাঁর সাংসদ পদ ছিল। সেসময় তাঁর বিদ্যুতের বিল, বাড়িঘর সংক্রান্ত বিল সব মেটানো আছে কি না, তার উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর অভিযোগ, মনোনয়নে তা উল্লেখ করেননি তৃণমূল প্রার্থী। অর্থাৎ ?নো ডিউ সার্টিফিকেট? জমা দেননি। তাই তাঁর মনোনয়ন গলদের অভিযোগ তুলে প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি বিজেপির।
অন্যদিকে, কলকাতা দক্ষিণের (Kolkata Dakshin) তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। বিজেপির দাবি, এটি একটি অফিস অফ প্রফিট। তাই সেই পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ালে স্বার্থের সংঘাতের সম্ভাবনা। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, চেয়ারপার্সন পদে থাকাকালীনই মালা রায় (Mala Roy) কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিজের মনোনয়ন পেশ করেছেন, যা বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনুচিত। ফলে তাঁরও মনোনয়ন বাতিল করতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বিস্তারিত জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের তরফে। বিজেপির আশা, যুক্তিসঙ্গতভাবে পরীক্ষার পর কমিশন তাঁদের আবেদনেই সাড়া দেবে কমিশন।