• নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, বড়সড় জরিমানার মুখে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি...
    আজকাল | ১৬ মে ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য  নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক-চিকিৎসক। সেইসঙ্গে নেই আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। সন্তুষ্ট নয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল (এনএমসি)। জরিমানার মুখে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি। ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে এই জরিমানার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলেজগুলির অধ্যক্ষদের। এনএমসি'র প্রশ্নের মুখে রীতিমতো অস্বস্তিতে অধ্যক্ষরা। জরিমানার অঙ্কটাও খুব একটা কম নয়, লাখের অঙ্কে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ২০২২ সালে এনএমসি নির্দেশ দেয়, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য সমস্ত রাজ্য, এমনকী পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিও এই ব্যবস্থা চালু করে। অভিযোগ, সরকারি অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি এই ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি। এনএমসি থেকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ আসার পর শেষপর্যন্ত জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের তরফে এটার অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই ব্যবস্থা সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চালু করা হয়েছে। যার সঙ্গে এনএমসি'কেও সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এনএমসি'র অভিযোগ, কলেজের আসন অনুযায়ী পর্যাপ্ত শিক্ষক-চিকিৎসক নেই। যেটা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় ধরা পড়ছে। বিষয়টির ব্যাখ্যায় ওই কর্তা বলেন, এই ব্যবস্থায় কলেজগুলিতে একজন শিক্ষক-চিকিৎসক যখনই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় আঙুলের ছাপ দিচ্ছেন, সেটা তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লিতে এনএমসি'র কাছে। অভিযোগ, এর আগে এনএমসির প্রতিনিধিরা এলে তাৎক্ষণিকভাবে এক কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসককে অন্য কলেজেও দেখিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় এটা করা একেবারেই সম্ভব নয়। যে কারণে এই প্রথা বন্ধও হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে এনএমসি'র তরফে কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স শুরু হয়। যে কনফারেন্সে অধ্যক্ষদের কাছে সরাসরি তাঁদের কলেজে এই বিষয়গুলি নিয়ে জানতে চায় এনএমসি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্যের কয়েকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের কথায়, 'জিজ্ঞাসা করার পর বলেছিলাম, দু'এক মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। তখন এনএমসি'র তরফে পাল্টা বলা হয়, দু'বছর ধরে পারলেন না, দু মাসের মধ্যে কীভাবে সম্ভব হবে!' গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব, মেডিক্যাল এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (মার্ট) ডা.অনিরুদ্ধ নিয়োগী বলেন, 'আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কোথাও একটা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সেটা এনএমসি'র কাছে যাচ্ছে না। সেইজন্যই এই 'কমিউনিকেশন গ্যাপ' তৈরি হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষক-চিকিৎসক পর্যাপ্তই আছে। নির্বাচনের জন্য এখন যেহেতু মডেল কোড অফ কনডাক্ট চালু আছে তাই তাঁদের ট্র্যান্সফার করা যাচ্ছে না। ৪ জুনের পর থেকেই বদলি চালু হয়ে যাবে।'
  • Link to this news (আজকাল)