• নো ডিউস বিতর্কে প্রার্থীপদ বাতিল নয় বসিরহাটের হাজির নুরুল ইসলামের!
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ মে ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী ও সুতপা সেন: প্রার্থীপদ খারিজ হচ্ছে না বসিরহাটের হাজির নুরুল ইসলামের। কেন? মনোনয়নের ফর্মে 'নো-ডিউস' শর্তে 'প্রযোজ্য নয়' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। যে তথ্যের সত্যতা যাচাই করার এক্রিয়ার নেই রিটার্নিং অফিসারের। সেক্ষেত্রে কেউ যদি চ্য়ালেঞ্জ করতে চান, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। কমিশন সূত্রে খবর তেমনই।

    ঘটনাটি ঠিক কী? ১ জুন সপ্তম দফায় উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। গতবার যিনি জিতেছিলেন, তৃণমূলের সেই নুসরত জাহানকে এবার টিকিট পাননি। বসিরহাটে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। নিয়মমাফিক মনোনয়নপত্রও পেশ করেছেন তিনি। বসিরহাটে কেন্দ্র থেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন মিরাজ মোল্লা। হাজি নুরুলের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তুলেছিলেন তিনি। মিরাজের অভিযোগ ছিল, 'মনোনয়নে সময়ে নো ডিউস সার্টিফিকেটে দেননি তৃণমূল প্রার্থী'। এর আগে, স্কুটিনি পর্বেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছিল বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা দেবাশিষ ধরের। একুশে বিধানসভার ভোটের সময়ে গুলি চলেছিল কোচবিহারের শীতলখুচিতে। তখন সেখানকার পুলিস সুপার ছিলেন দেবাশিস। লোকসভা ভোটে মুখে হঠাৎ-চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি।মনোনয়ন কেন বাতিল? জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও দেবাশিসকে এখনও 'নো ডিউস' দেয়নি রাজ্য় সরকার। কমিশন জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে 'ডিউস ক্লিয়ার' ছিল না। সেকারণেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বাতিল মনোনয়ন। এরপর যখন সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন প্রাক্তন এই IPS অফিসার, তখন মামলাটি ফিরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'আপনি সময় মতো 'নো ডিউস' সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাননি ! মনোনয়নপত্র বাতিলের মুহূর্তে আবেদন জানিয়েছেন। আপনি তো সাধারণ মানুষ নন, আইপিএস। নিয়ম কানুন জানার কথা ছিল'। নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল মামলাকারীকে।   এদিকে স্রেফ বসিরহাটের হাজি নুরুল ইসলাম নন, দক্ষিণ কলকাতার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়েরও মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছেন বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন হওয়া সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন মালা। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতার পড়ে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)