• ২০২২ প্রাথমিক নিয়োগ:‌ ২৩ জুলাই শুনানি
    আজকাল | ১৬ মে ২০২৪
  • আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি: কয়েকমাস আগেই রাজ্যে ৯,৫৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য। এখনও ২ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। ওই শুন্য পদের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ বা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দ্রুত নম্বর সহ তালিকা এবং নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন ২০২০-‌২২ সালের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশন (‌‌ডিএলইডি)‌‌ পাশ চাকরি প্রার্থীরা। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ২০২২ সালের নিয়োগের অপ্রকাশিত নম্বর সহ তালিকা মু্খবন্ধ খামে পেশ করতে হবে শীর্ষ আদালতে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কুণাল চ্যাটার্জি জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই মুখবন্ধ খামে প্রার্থীদের তালিকা আদালতে পেশ করা হবে।  ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যে ১১ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলইডি প্রার্থীরা এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি পর্ষদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। পরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ২০২০-‌২০২২ ডিএলইডি ও ২০২২ টেট উত্তীর্ণরা। খালি থাকা শুন্যপদে তাদের নিয়োগ করা হোক এই দাবি জানায়। অন্যপক্ষের দাবি, যেহেতু নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ঠ প্রার্থীদের ডিগ্রি অসম্পূর্ণ, তাই তারা নিয়োগ পেতে পারেনা। মামলাকারীদের পক্ষে সাদেক বিশ্বাস জানিয়েছেন,‘‌আগামী ২৩ জুলাই আদালত মুখবন্ধ খামে পর্ষদের কাছে এবিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কোর্ট। আশা করছি, ওই দিন নির্দেশ দেওয়া হবে।’‌ ‌
  • Link to this news (আজকাল)