• বৃষ্টির কামনায় কার্ড ছাপিয়ে টোপর পরিয়ে বট-পাকুরের বিয়ে, পাত পেড়ে খেলেন ২২০০ জন!
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ মে ২০২৪
  • ভবানন্দ সিং : কার্ড ছাপিয়ে লগ্ন লিখে বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়েছিল আগেই। নিমন্ত্রিত ছিলেন ২২০০ জন। সবাই খেলেন পাত পেড়ে। তবে বিয়ে শুরু হয়েছে সেই গভীর রাতে ১১টা ৪৩ মিনিট গতে লগ্ন ধরে। এ কোনও সাধারণ বিয়ে নয়। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিয়ে এ হল বট গাছ আর পাকুর গাছের বিয়ে। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে মহা ধুমধামে বট-পাকুরের বিয়ে হল রায়গঞ্জের রূপাহার তুলসিপাড়ায়।একদিকে তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে বৃষ্টির দেখা নেই। যার জেরে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। ক্রমেই নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। আর বৃক্ষচ্ছেদনের কারণেই পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে পরিবেশবিদেরা দাবি করেছেন। এমত অবস্থায় গাছ লাগানোর বার্তা দিয়ে আর বৃষ্টির কামনায় এই বট-পাকুর গাছের বিয়ের আয়োজন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। 

    গ্রামের এক প্রান্তে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা পাত্র পাকুড় ও পাত্রী বট গাছকে শাড়ি, ধুতি, শাখা, সোনা ও রূপোর অলঙ্কারে সাজানো হয়। পরানো হয় টোপরও। এরপর শালগ্রাম শিলা সাক্ষী রেখে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে দুই গাছের বিয়ে দেন পুরোহিত। ছিলেন কনে ও বরের বাবা ও মা। এমনকি আত্মীয় স্বজনরাও। বরযাত্রী ও কনেযাত্রী সব্বার জন্য ছিল পাত পেড়ে ভাত, ডাল, ২ রকমের সবজি, পায়েস খাওয়ার ব্যবস্থা। ছিল ব্যান্ড পার্টিও।কার্যত মানুষের বিয়ে যেমনটা হয় আরকি। শুধু গ্রামের মানুষরা নয়, গ্রামের দূর-দূরান্তের আত্মীয়রাও উপস্থিত ছিলেন বিয়ের আসরে। তবে সবটার মধ্যেই ছিল, গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও-এর বার্তা। ছিল পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা। রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামে গভীর রাত পর্যন্ত মহা ধুমধামে চলে এই বিয়ের অনুষ্ঠান। যাতে প্রকৃতির বিরূপ রূপে বৃষ্টির জন্য অসহায় মানুষের কাতর প্রার্থনা স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)