• ‌মুর্শিদাবাদে বাগানে আপেল ফলিয়ে তাক লাগালেন স্কুল শিক্ষক...
    আজকাল | ১৭ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ‌কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে শ্রীনগর থেকে পহেলগাওঁ যাওয়ার পথে রাস্তার দু’‌পাশে আপেল বাগান দেখে একবারও থমকে দাঁড়াননি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া ভার। তবে আপেল বাগান খুঁজতে বাঙালিকে আর হিমাচল বা কাশ্মীরে যেতে হবে না। কষ্ট করে মুর্শিদাবাদ চলে এলেই আপেল বাগানের ছাওয়ায় দু’‌দণ্ড জিরিয়ে নিতে পারেন। ইচ্ছা হলে তুলতে পারেন আপেলের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের সেলফি। ক্রান্তীয় উষ্ণ অঞ্চলে আপেল গাছ লাগিয়ে এবং সেই গাছে ফলন ধরিয়ে এবার তাক লাগালেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাছারিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় নপুকুরিয়ার–নতুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক রূপেশ দাস। রূপেশবাবু বলেন, ‘‌ছোটবেলা থেকেই আমার গাছ লাগানোর শখ থাকলেও পরে সেই অভ্যাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে করোনার সময় নতুন করে গাছ লাগানো শুরু করেছি।’‌ বর্তমানে রূপেশবাবুর বেলডাঙার বাড়ির দেড় কাঠা বাগানে আপেল, জাফরান ছাড়াও বিভিন্ন রকমের গাছ রয়েছে, যার অনেকগুলোই উষ্ণ ক্রান্তীয় জলবায়ুতে বেশি দিন বাঁচে না। রূপেশবাবু জানান ‘‌বাড়িতে আপেল উৎপাদন করার ইচ্ছা নিয়ে বছর তিনেক আগে হিমাচলপ্রদেশের একটি ফার্ম থেকে অনলাইনে বেশ কয়েকটি আপেল গাছের চারা কিনে আমার বাড়িতে এনে লাগাই। গত বছর থেকে গাছগুলোতে ফল দিতে শুরু করলেও এবছর গাছে আপেলের সংখ্যা এবং ফলের ওজন দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।’‌ প্রসঙ্গত, এবছর শীতের সময় নিজের বাড়িতে জাফরান ফুল ফুটিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‌বেলডাঙার মতো জায়গায় যেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায় সেখানে আপেল গাছে ফল উৎপাদন করা খুব সহজ কাজ নয়। এর জন্য আমাকে বহু পরিশ্রম করতে হয়েছে। গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা ছাড়াও জৈব এবং পরিমাণ মত রাসায়নিক সার দেওয়া, গাছগুলো যাতে পর্যাপ্ত জল পায় এবং গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমে যায় সেদিকেও নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে হয়েছে।’‌ রূপেশবাবু তিনটি ভিন্ন প্রজাতির আপেল গাছ নিজের বাড়িতে লাগিয়েছিলেন। বর্তমানে গাছগুলোতে প্রায় ১৫ কেজি আপেল হয়েছে। তিনি জানান, ‘‌আপেলগুলো যাতে প্রখর রোদে দ্রুত লাল হয়ে পেকে না যায় সেই কারণে বেশ কিছু আপেল এখন কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা রয়েছে।’‌ তবে রূপেশবাবুর বাড়ির আপেল খেয়ে তাঁর গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েছেন একাধিক প্রতিবেশী। তাঁরা জানান, শিক্ষকের বাড়িতে যে আপেলগুলো হয়েছে তার স্বাদ এবং রসের পরিমাণ বাজারের সাধারণ আপেলগুলোর থেকে অনেকটাই বেশি। রূপেশবাবু জানিয়েছেন, সরকারি অনুদান পেলে এবং কিছুটা জায়গা পেলে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে বেলডাঙাতে বড় আকারে আপেল চাষ করার।‌
  • Link to this news (আজকাল)