• বাড়িতে বসে ভোট দিলেন শতায়ু প্রিয়বালা
    আজকাল | ১৭ মে ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: ভোট দিলেন শতায়ু প্রিয়বালা কুণ্ডু। তাও আবার বাড়িতে বসে। গত পনেরো বছর ভোট দিতে পারেননি। তাঁর নাম বাদ পড়েছিল ভোটার তালিকা থেকে। চুঁচুড়া কপিডাঙার বাসিন্দা প্রিয়বালা কুণ্ডুর বয়স একশো বছর। শেষ বড় ভোট দিয়েছিলেন, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে। তার পরে কোনও অজ্ঞাত কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে তাঁর। ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, ছিল ভোটার কার্ড। তবুও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। তিনি নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকদের বৃদ্ধার বাড়ি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন। আবার নতুন এপিক হাতে পান বৃদ্ধা। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছন ভোট কর্মীরা। বাড়িতে বসেই ভোট দেন অশীতিপর বৃদ্ধা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ভোট কর্মীরা বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে তাঁর ভোট গ্রহণ করেন।দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা। একশো বছর পেরিয়েছে। কানে একটু কম শোনেন। ভাল করে হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তবে তাঁর ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন। সেই ইচ্ছা তাঁর পূরণ হয়েছে। বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুণ্ডু বলেছেন, ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তাঁর ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না। অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন। ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গেছেন। উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমাণ করলেন।ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)