• মার খেয়েছে ফলন, দাম চড়ছে আনাজের
    আনন্দবাজার | ১৬ মে ২০২৪
  • দু’দিনের বৃষ্টির পরেই চড়া রোদ উঠেছে। এতে আনাজ গাছ মরে গিয়েছে। ফলে, মার খেয়েছে ফলন। জোগান কমে যাওয়ায় অধিকাংশ আনাজের দাম এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম আনাজ কিনে পরিস্থিতির সামাল দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

    বুধবার জেলার বিভিন্ন হাট এবং বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে বেগুনের কেজি ছিল ২০-২৫ টাকা। বুধবার সেই বেগুন বিকিয়েছে ৪০ টাকা দরে। ৩৫ টাকা কেজি দরের পটল বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। ৪০ টাকা কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে ২০ টাকা কেজি দরের ঢেঁড়স। ২৫ টাকা কেজি দরের শশা ৩৫ টাকা হয়েছে। ২০ টাকা কেজি দরের পেঁপের দাম ৪০ টাকা ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে আলুরও। ২০-২২ টাকা কেজি দরের আলু খরিদ্দারদের কিনতে হয়েছে ২৭-২৮ টাকা দামে। ৬০ টাকা কেজি দরের কাঁচালঙ্কার দাম বেড়ে হয়েছে ৯০-১০০ টাকা।

    ঝিঙে, কেঁদুরি, আদা, পুঁইশাক-সহ কিছু আনাজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও অধিকাংশ আনাজেরই কেজি প্রতি ৫-১৫ টাকা দাম বেড়েছে। আমোদপুরের আনাজ ব্যবসায়ী অমিত গড়াই, হারু শেখ, কীর্ণাহারের তাপস দাস, সবুর শেখেরা বলেন, ‘‘বাজারে জোগান কমে যাওয়ায় দূর থেকে আনাজ আনাতে হচ্ছে। সে জন্য দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’’

    লাভপুরের দরবারপুরের এহেসান আলি, ময়ূরেশ্বরের ঢেকার প্রশান্ত বাগদিরা বলেন, ‘‘বৃষ্টির পরে মাত্রাতিরিক্ত রোদের জন্য অধিকাংশ আনাজের গাছ হেজেমজে গিয়েছে। বৃষ্টিতে ফুল ঝড়ে যাওয়ায় আনাজের ফলন ভীষণ ভাবে মার খাচ্ছে। আনাজের রোগও বেড়ে গিয়েছে। কীটনাশক স্প্রে করে ফসল বাঁচাতে গিয়ে আমরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছি।’’

    এই পরিস্থিতিতে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। আমোদপুরের সজল চট্টোপাধ্যায়, লাভপুরের মানব মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘বাজারে আনাজ কিনতে গিয়ে দাম শুনেই হাত গুটিয়ে নিতে হচ্ছে। কম পরিমাণে আনাজ কিনতে হচ্ছে।’’ কীর্ণাহারের পরেশনাথ পাল, মল্লারপুরের দীনেশ দেরা বলেন, ‘‘আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের সব মিলিয়ে দৈনিক ২-৩ কেজি করে আনাজ লাগে। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে এখন কিছুটা কম কিনছি। সোয়াবিন দিয়ে ঘাটতি পূরণ করছি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)