'কোনওভাবেই যেন বিরক্ত করা না হয়', হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে অভিজিৎ!
২৪ ঘন্টা | ১৭ মে ২০২৪
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আপাতত স্বস্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ করা যাবে না', নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কতদিন? ১২ জুন পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, ''১৪ জুন পর্যন্ত অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও অন্য মামলাকারীকে তদন্তের জন্য় ডাকা যাবে না'।
আদালত ছেড়ে এবার জনতার দরবারে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'তিনি লোকসভার প্রার্থী। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জাজমেন্টের উপর আপাতত ভরসা রাখছে আদালত। প্রার্থীকে কোনওভাবেই যেন বিরক্ত করা না হয়'। বিচারপতি পর্যবেক্ষণ, 'রাজনীতি বেশি হয়ে যাচ্ছে। যিনি প্রার্থী, তিনি বিজেপি। যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি তৃণমূল। রাজনীতি খুঁজছি না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি তো তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আদালত একটা সময় পর্যন্ত মামলাকারীকে রক্ষাকবচ দিচ্ছে'।ঘটনাটি ঠিক কী? রোড-শো তখন মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। চাকরিহারাদের ধরনা মঞ্চ থেকে প্রাক্তন বিচারপতির উদ্দেশ্যে 'চোর চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। এরপর যখন বিজেপি কর্মীরা পাল্টা স্লোগান দেন, তখন দু'পক্ষের মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কবে? শনিবার।এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন। শুধু তাই নয়, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আবার প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলাদের সম্মানহানি, মারধর-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। সেই FIR খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।মঙ্গলবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তে এজলাসে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর নিয়মাফিক মামলাটি চলে গিয়েছিল হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। গতকাল, বুধবারই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই মতোই এদিন মামলার শুনানি হল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে।