প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের পুরশুড়ায় কৃষিজমি নষ্টের অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধীতার অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও।
গত রবিবার পুরশুড়ায় সভা করেন মোদী। বুধবার এখানকার সাঁওতার একটি হিমঘর চত্বরে পাল্টা সভা করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি কৃষক বিরোধী। কালো কৃষি আইন এনে ৭০০ কৃষককে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করিয়েছে। এ বার কৃষকের জমি নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী সভা করেছেন আরামবাগের মাটিতে।’’ অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মূর্খদের বক্তব্যের গুরুত্ব নেই। মিথ্যা কৃষকদরদী সেজে কোনও লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছিল, চাষিদের দাবিমতোই তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
অভিষেকের মন্তব্য, আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল, গোঘাটের মানুষ ২০২১ সালের বিধানসভায় বিজেপিকে জিতিয়েছিল। অথচ, বিজেপিই গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও বিধানসভায় তৃণমূল এই চার কেন্দ্রে হারলেও রাজ্য সরকার এখানকার কারও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করেনি। এলাকায় বিজেপি বিধায়কদের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। এ দিন চুঁচুড়ার নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে কেউ হাত লাগাতে পারবে না। হাত লাগালে খুন্তি-ঝান্ডার খেলা হবে। হাঁড়ি-কড়ার খেলা হবে। জানে না বাংলাটা অন্যরকম!’’
অভিষেকের দাবি, আরামবাগে আলুচাষিরা কোন জমিতে কে চাষ করবেন, কখন চাষ করবেন তা নিয়ে আগে (বাম জমানায়) সিপিএমের লোকাল কমিটি, জোনাল কমিটির সদস্যদের অনুমতি নিতে হত। সিপিএম ২০১১ সালে তৃণমূলের কাছে হারার পরে বছর পাঁচেক ‘বাড়িতে ঢুকে বসেছিল’। পরে লাল জামা এবং পতাকা পাল্টে গেরুয়া ধারণ করেছে বলে তিনি টিপ্পনী কাটেন।
এ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফারুক আহমেদ লস্কর বলেন, ‘‘আমাদের লোকাল বা জোনাল কমিটির সদস্যেরা এখনও আছেন। তৃণমূল অনেক কমিশন, তদন্ত করেও কোনও অভিযোগ খাড়া করতে পারেনি। আর আমাদের এমন অবস্থা হয়নি যে দলের লোকেদের বিজেপি করাতে হবে। সেটিং তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যেই। বিজেপির দয়াতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে।’’