• বিরিয়ানি থেকে পায়রা, প্রার্থীদের নিয়ে বাজি ধরা হচ্ছে
    আনন্দবাজার | ১৬ মে ২০২৪
  • এতদিন আইপিএল নিয়ে চলছিল বাজি ধরা। কেউ নাইট রাইডার্সের হয়ে, কেউ আবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বাজি ধরছিলেন চায়ের দোকানে বা পাড়ার মাচায়। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে এখন সেই চায়ের দোকান থেকে মাচায় বাজি ধরার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল।

    কেউ বলছেন মহম্মদ সেলিম জিতলে আলোচনার সময় যত জন উপস্থিত রয়েছেন, সকলকেই বিরিয়ানি খাওয়াবেন। কেউ আবার বলছেন, ‘‘আমি খাওয়াবো কোল্ড ড্রিঙ্কস’’। উল্টো দিকে আবু তাহেরের সমর্থক বলছেন, কেবল বিরিয়ানি নয়, টাকায় লড়তে হবে বাজি। তিনি ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি যদি আবু তাহের খান হেরে যান। কেউ আবার পাল্টা দিচ্ছেন সেলিমের হয়েও। তাঁর সমর্থক অবশ্য এত বেশি টাকায় লড়তে রাজি নন, ২০০০ টাকার বাজি ধরছেন তিনিও।

    আর এই সব ঘটনা রেকর্ড রাখা হচ্ছে স্মার্টফোনে। কখনও কখনও আবার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। পুলিশ প্রশাসনের দাবি এগুলো সাধারণত বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে সেটাও ভেবে দেখা উচিত সাধারণ মানুষের।

    কিন্তু কে শুনছে কার কথা। ডোমকলের কুপিলা গ্রামের আনারুল ইসলাম এমনই বাজি ধরে বসেছেন। তবে তাঁর বাজি একটু অন্য রকমের। পায়রা-প্রেমী আনারুলের গোটা পঞ্চাশের পায়রার মধ্যে পাঁচটি পায়রা নিয়ে বাজি ধরেছেন। যদি আবু তাহের খান না জেতেন, তাহলে তাঁর প্রতিপক্ষ রমজানকে দিয়ে দেবেন পাঁচটি পায়রা। উল্টো দাবি রমজানের। সেলিম না জিতলে তিনিও পাঁচটি আদরের পায়রা দিয়ে দেবেন আনারুলকে।

    ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে এ রকমের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য এক জন বাজি ধরছেন ১০০০০ টাকার। কিন্তু আর্থিক ভাবে দুর্বল অপর ব্যক্তি বলছেন ১০ হাজার নয়, আমার কাছে এত টাকা নেই, ২০০০ টাকায় রাজি আছি। সেলিম যদি এক ভোটেও না যেতে তাহলে একেবারে নগদ ২০০০ দিয়ে দেবো।

    রাজনৈতিক দলের নেতারা ফল নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার থেকে তাদের সমর্থকরা এখন চিন্তায় পড়েছেন বেশি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)