ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রায় ১৩ মাস পর জেলমুক্তি। বন্দিদশা কাটতেই প্রথমবার বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। স্পিকারের অনুমতিতে দুটি বৈঠকেও যোগ দেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। তাঁকে স্বাগত জানান আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান এবং চাঁচলের বিধায়ক নীহার ঘোষ। সদ্য জামিনপ্রাপ্ত বিধায়ক জানান, ?স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে জামিনের অর্ডার সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিলাম।? গ্রেপ্তারির সময় মোবাইল ছুঁড়ে ফেলা প্রসঙ্গে অবশ্য একটি শব্দও খরচ করেননি তৃণমূল বিধায়ক।
স্পিকারের অনুমতিতে জীবনকৃষ্ণ সাহা বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা এবং বিধায়ক সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন। বহুদিন পর ফের বিধানসভায় বৈঠকে যোগ দিয়ে অত্যন্ত খুশি সদ্য জামিনপ্রাপ্ত বিধায়ক। তিনি বলেন, ?অনেকদিন পর বিধানসভায় এসেছি। ভালো লাগছে। স্পিকারের কাছে কাজ শুরুর অনুমতি চাই। তিনি দেন। তাই দুটি বৈঠকে যোগ দিয়েছি।?
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ এবং আদানপ্রদানের অভিযোগে এই তল্লাশি। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে সন্ধে নাগাদ বাড়ির পিছন দিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। অপরটি তখনও পাওয়া যায়নি।
সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতে মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছেন। ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ। এদিন নিজের স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন জীবনকৃষ্ণ। তবে মোবাইল পুকুরে ফেলে দেওয়া প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি তিনি। জানান, ‘‘বিষয়টি কোর্টের বিচারাধীন। এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কোর্টের রায় যা হবে, মাথা পেতে নেব। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে।’’