স্কুলে টানা ছুটি পেলেই বেড়িয়ে পড়েন দেশবিদেশের নানা প্রান্তে। গাড়িতে যাওয়া-আসার পথে তুলে ধরেন সচেতনেতার নানা বার্তা। সুতপা দাস, তপতী দেবনাথ এবং রুমা বর্ধন— পেশায় এই তিন শিক্ষিকা বুধবার হেমায়েতপুর মোড় থেকে ‘সেভ ওয়াটার’, ‘সেভ লাইফ’ এবং ‘সেভ আর্থ’— জল-পৃথিবী ও প্রাণ বাচাঁনোর আর্তিতে ফেস্টুন নিয়ে পূর্বস্থলীর হেমায়েতপুর মোড় যাত্রা থেকে শুরু করলেন।
কথা বলে জানা গেল, শিলিগুড়ি হয়ে ভুটান পর্যন্ত চলবে প্রচার। তাঁদের দাবি, প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার যাতায়াতের পথে অজস্র জায়গায় গাড়ি থেকে নেমে উষ্ণায়নের জেরে তৈরি হওয়া পৃথিবীর আশু বিপদের পাঠ দেবেন। পৃথিবীকে রক্ষা করতে জলের অপচয় বন্ধ করা এবং গাছ লাগানো জরুরি। বাঘনাপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের শারীরশিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা সুতপা। বাকি দুই শিক্ষিকা মধ্যে তপতী নদিয়ার নগরউখড়া বাসিন্দা। কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়ার বাসিন্দা রুমা।
তিন জনের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। ২০০৯ সাল থেকে চলছে সচেতনতা প্রচার। এর আগে কন্যাদের সমান অধিকারের দাবিতে দেশের ১৬টি রাজ্যের ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরে প্রচার চালিয়েছেন। কখনও ‘সেভ গার্ল চাইল্ড’ স্লোগান নিয়ে দেশের ১৯টি রাজ্যে প্রচার করেছেন। তাঁদের লক্ষ প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা।
সুতপা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় প্রচার চলবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে কী ভাবে বিপদ ঘনিয়ে আসছে, বৃষ্টি কমে আসায় মাটির তলার জলস্তর নেমে কেমন করে বিপদ বাড়াচ্ছে বোঝানো হবে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া জল নষ্ট করা যাবে না। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। গাছগুলির যত্ন নিতে হবে। তিনি জানান, এবারের কর্মসূচি প্রায় ২৫ দিনের। ভুটানে প্রচার চলবে তিন দিন। তার পরে মণিপুর, মেঘালয়, মিজ়োরাম, অসম হয়ে ঘরে ফিরবেন। খরচ হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তপতীর কথায়, ‘‘শিক্ষকতার ফাঁকে সময় পেলে সচেতনতা প্রচারে বেড়িয়ে পড়ি। ৪৭ ডিগ্রি তাপমাত্রাও পার করেছি। সকলে মিলে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে।’’