'সন্দেশখালির দুর্নীতিকে ছেড়ে দেব কেন...' হুঁশিয়ারি দিলীপের...
২৪ ঘন্টা | ১৭ মে ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: মমতা যদি সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম দেখিয়ে ভোট জিততে পারে, তাহলে আমরাও সন্দেশখালির মতো এতো বড় দুর্নীতি ছেড়ে দেব কেন? এর থেকেও বড় অপকর্ম বেরোবে। কারণ শেখ শাহাজাহান এর মেজো ভাই এখনও পলাতক। তাই মহিলাদের রাত জাগতে হচ্ছে। তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। ওরা চাইছে এইভাবে ওখানে ভোট করিয়ে নিতে। কিছু গ্রামে পুরুষরা ঘরছাড়া। ভোট পর্যন্ত ওরা এটা টানতে চাইছে। ওখানকার মহিলাদের আন্দোলন গোটা দেশে একটা উদাহরণ তৈরি করেছে। দিকে দিকে প্রার্থীকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ
হাওড়ার রথীন বাবু মেয়র ছিলেন। তাঁকে কিছু করতে দেওয়া হয়নি। বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি একজন যোগ্য ব্যক্তি। তৃণমূল সর্বত্র তাদের বিদায়ী সাংসদ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। অনেককে দেখতে পাওয়া যায়নি। তাই অনেককে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। বিজেপির সাংসদরা সংসদের ভিতরে বাইরে এলাকার জন্য সক্রিয়। এমনকি দেবের মতো সংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ তিনি ঘটালে যান না, পার্লামেন্ট যান না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই। কলকাতা এবং আশেপাশের সবকটা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ তাদের কর্মীদেরই খোঁজ খবর নেননা। তাই এখন এইসব প্রশ্ন উঠছে।বদলা নয় বদল চাই এর উল্টো কথা এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে!উনি বলেন এক করেন এক। চিরদিনই এরকম। আমার ওখানে একজনকে খুন করা হয়েছে। প্রচুর লোক ভয়ে এলাকা ছাড়া। এই ধরনের ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ভোট ঘোরানোর জন্য। লাভ হবে না। শুভেন্দু গড়ে অভিষেকযত যাবেন তত ভোট কমবে। যে দুর্নীতি হয়েছে তার জবাব মানুষ দেবে। পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ সচেতন। শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান। তারা এই সব লোকের কথা আর শুনবে না। সাংসদের বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে ক্ষোভসর্বত্র এক অবস্থা। মুসলিম সমাজ, যারা একসময় ওদের ব্লক ভোটার ছিলেন, তারা এবার ডিফেন্ড করেছেন সব জায়গায়। তারা বিজেপি কে ভোট দেবেন বা জোট কে ভোট দেবেন। ঠিক করেছেন তৃণমূল কে এবার হারাবেন। তাই তাদের বেশি ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা তৃণমূলের রূপ বুঝেছেন। তারা একসময় কংগ্রেস কে ছেড়েছেন, তারপর সিপিএম কে ছেড়েছেন, এবার তৃণমূল কে ছাড়বেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অল আউট তৃণমূলএই যে মক ফাইট ওরা করছে, এটা লোক বিশ্বাস করেনা। তাই এই আন্দোলনের কোনো গুরুত্ব নেই। ঠিক এক জিনিস সন্দেশখালিতে। কোনো পার্টি ব্যানার নেই। কিন্তু আন্দোলনের খবর গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট এনেছে। যতরকম ভাবে সম্ভব এদের ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল কাউকে ছাড়েনি। স্ট্রং রুমের বাড়তি নিরাপত্তা চাইল বিজেপিকিছু স্ট্রং রুমের মনিটর নেই। সিসিটিভি কোথায় কেউ জানে না। নিয়ম মতো সিল করা স্ট্রং রুমের ওপর নজরদারি থাকে। আমাদের লোকেরা রাতে গিয়ে মনিটর খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আমরা কমপ্লেন করেছি। শেখ শাহাজাহানের ১৪ কোটির জমি১৪???? ৩০০ কোটির সম্পত্তি। মাছের ভেড়ি, ইঁট ভাটা, এরকম বহু জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারি খাস জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় মমতা বলেছেন না ইন্ডিয়া জোটের ৩১৫ আসন হবে, ওটা আসলে ৩১৫ কোটি শেখ শাহাজাহানের সম্পত্তি হয়ে যাবে।