দেদার বালি চুরি! মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত সরকারি আধিকারিকরা, প্রকাশ্যে ভিডিয়ো...
২৪ ঘন্টা | ১৭ মে ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: ময়নাগুড়ির নয়াবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ। এবার সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসল বৃহস্পতিবার রাতে। সেই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে বালি মাফিয়ারা রীতিমতো ওই আধিকারিককে আটক করে ধমকচমক ও গালিগালাজ করছেন। বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্তে স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও জলপাইগুড়ি জেলা শাসক শামা পার্ভিন জানালেন ইতোমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি কি? জানা যাচ্ছে গত রবিবার রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক। ময়নাগুড়ি ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা রাতের অন্ধকারে নিজেদের সীমানা ছেড়ে নয়াবন্দর সংলগ্ন কোচবিহারের সীমানায় জলঢাকা নদীর এক বেডে যায়। সেখানে অবৈধ বালি পাচার হচ্ছিল রাতেই। ওই আধিকারিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান। এতেই বালি মাফিয়ারা তেড়ে ওঠেন। তাদের দাবি কেন ময়নাগুড়ির ভূমি ও ভূমি সংস্কারের আধিকারিকরা কোচবিহার সীমানায় এসেছেন।
শুধু তেড়ে ওঠাই নয়, রীতিমতো প্রশাসনিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। আধিকারিককে মারধর করা হয়। তারপর বালি মাফিয়ারাই ভিডিয়ো তৈরি করেন। সেই ভিডিয়ো তেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োই এবার প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা শাসক শামা পার্ভিন জানান ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। অন্যদিকে, এনিয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র শ্যাম প্রসাদ জানান, বালি ও পাথর মাফিয়াদের টাকা কালীঘাট পর্যন্ত যায়। প্রশাসনের একাংশের মদতেই হয় বালি ও পাথরের অবৈধ কারবার। যার ফলে মাফিয়ারা ছোটোখাটো প্রশাসনের আধিকারিকদের ভয় পায় না।অন্যদিকে, ফের খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। বেশ কিছুদিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের মরাঘাট চা-বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করছিলেন চা-শ্রমিকেরা। চিতাবাঘের আক্রমণে দু'দিন আগেও জখম হয়েছিলেন একজন চা-শ্রমিক। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাগান জুড়ে। চিতাবাঘ ধরতে বাগানের তরফে বন দফতরের কাছে আবেদনও করা হয়। এরপর প্রায় মাসখানেক আগে মরাঘাট চা-বাগানের এন.জি ৬ নং সেকশনে খাঁচা পাতে বন দফতর।