সাবধান! ব্যস্ত শহরে বাঘে খেল মানুষ, রেড অ্যালার্ট জারি...
২৪ ঘন্টা | ১৭ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে মিলল ৬২ বছরের ব্যক্তির অর্ধ মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তেন্দু পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন জঙ্গলে। তখনই বাঘের মুখে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাই আর শেষরক্ষা হয়নি তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে, ভোপাল শহরের সীমা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রাইসেন জেলার ওবেদুল্লাগঞ্জ এলাকায়।স্থানীয় প্রতিবেদন সূত্রের খবর, কয়েক দশকের মধ্যে ভোপালে এই প্রথম বাঘের দ্বারা মানব হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন দফতরের অফিসাররা ইতোমধ্যেই বাঘের সন্ধানে ওই এলাকায় ৪০ ক্যামেরা লাগিয়ে ট্র্যাপ স্থাপন করেছে। এমনকি গ্রামবাসীদের সূর্যাস্তের পর বাড়ি থেকে বেরতো নিষেধ করেছে। আরও জানা গিয়েছে, বাঘ চলাচল করেছে বলে মনে এমন জায়গাগুলির একাধিক রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি রাইসেন জেলার ওবেদুল্লাগঞ্জ এলাকায় রাতাপানি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নিমখেদা কুশিয়ারি অঞ্চলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মণিরাম যাতাভ। বন কর্মকর্তাদের গ্রামবাসীদের সতর্কতা উপেক্ষা করে তেন্দু পাতা সংগ্রহের জন্য তিনি একাই গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন। যখন তিনি পাতা কুড়োচ্ছিলেন, তখন বাঘ তাঁকে চার পায়ের শিকার ভেবে আক্রমণ করে। তিনি বাড়িতে না ফেরার পর তাঁর পরিবারের মধ্যে শঙ্কা জাগে। তারপর অনুসন্ধানকারীরা তাঁকে খোঁজার কাজে নেমে পড়ে। তারা ঝোপের মধ্যে থেকে ওই ব্যক্তির অর্ধ-খাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করে।বৃহস্পতিবার সকালে ডিএফও বিজয় কুমার এবং এসডিও সুধীর পাটলের উপস্থিতিতে জেলা হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম ময়নাতদন্ত করেছে। এটি নিশ্চিত করেছে যে ওই ব্যক্তিকে একটি বাঘ মেরে খেয়েছে।মৃত ব্য়ক্তির পরিবারের সদস্য সহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাঘের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ডিএফও বিজয় কুমার তাদের শান্ত করেন। নিহতের পরিবারকে ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে,নিমখেদা কুশিয়ারিতে দুটি বাঘ দেখা গিয়েছে। যা বনকর্তাদের গ্রামীণ এলাকায় তাদের নজরদারি জোরদার করতে প্ররোচিত করেছে।চলতি মাসের শুরুর দিকেই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছে যে স্ত্রীর সঙ্গে একজন পুরুষের অস্বাভাবিক যৌন মিলন সহ যেকোনও যৌন মিলন স্ত্রীর সম্মতি হিসাবে ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না। এই ধরনের ক্ষেত্রে ধর্ষণ শব্দটি অর্থহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি গুরপাল সিং আহলুওয়ালিয়ার একটি বেঞ্চ বলেছে যে, বৈধ বিবাহের সময় যদি কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন, তবে তাঁর নিজের স্ত্রীর (পনেরো বছরের বেশি বয়সী) সঙ্গে কোনও পুরুষের যে কোনও যৌন সংসর্গ বা যৌন কাজ ধর্ষণ হবে না।