• 'ভূত'ই ভর করেছে ভারতকে! রোহিতদের চরম হুঁশিয়ারি মিসবার, ঝাড়ফুঁক না করালেই...
    ২৪ ঘন্টা | ১৮ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ট্রফির বিচারে দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অধিনায়কের নাম এমএস ধোনি (MS Dhoni)। যা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না কারোরই, ধোনিপন্থী হোক বা ধোনি বিরোধী। এই সত্যি গ্রহণ করতেই হবে। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো থেকে ধোনির সোনার দৌড় শুরু হয়। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত ২০১১ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জেতে। আর এর ঠিক দুই বছর পর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ধোনি অ্যান্ড কোং। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ভারত অধিনায়কই দেশকে  একটিও আইসিসি ট্রফি জেতাতে পারেননি। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) পর, টিম ইন্ডিয়ার তিন ফরম্যাটে পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক হন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁর নেতৃত্বেও ভারত কোনও আইসিসি-র ট্রফি জেতেনি। ১১ বছর হতে চলল ভারতের আইসিসি-র ট্রফি নেই ক্য়াবিনেটে। ভারত সেমি ফাইনাল বা ফাইনালে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। দুয়ারে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024)। আইসিসি-র শোপিস ইভেন্টে নামার আগে ভারতের ফিনিশিং লাইন না টপকানোর কারণ দর্শালেন মিসবা-উল-হক (Misbah-ul-Haq)। প্রাক্তন পাক মহারথী জানিয়ে দিলেন যে, 'ভূত'ই ভর করেছে ভারতকে! রোহিতদের চরম হুঁশিয়ারি মিসবার, সাফ বলছেন ঝাড়ফুঁক না করালেই ফের বিপদ।বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসবা বলেন, 'উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকান। দৃঢ় মানসিকতার জন্য়ই কিন্তু ওরা অধিকাংশ হার্ডল টপকে যায়। বড় ম্যাচে এবং চাপের মধ্য়েও তারা সংযত থাকতে পারে। বিপরীত অবস্থানে পাকিস্তান, ভারত এবং অন্যান্য এশিয়ার দলগুলি। সেখানকরা বিশাল জনসংখ্যা এবং বিরাট প্রত্যাশার চাপের মধ্য়ে পড়তে হয় তাদের। এই চাপই পারফরম্যান্সকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। এই চাপই কিন্তু ভারতকে শেষ কয়েকটি মেগা ইভেন্টে বেগ দিয়েছে। যেখানে তারা শেষ করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে এটা তেমন একটা বড় সমস্যা নয়। তবে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে চরম চাপের মধ্যে খেলাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতে এই দলগুলি কীভাবে নিজেদের পরিচালনা করে, সেটাই দেখার। বিশেষত ভারতের কথা বলব, যদি তারা আসন্ন ইভেন্টে সফল হতে চায়। তাহলে তাদের এই পাহাড় প্রমাণ চাপ কাটানোর রাস্তা বার করতেই হবে। এই ভারতীয় দল আলাদা, অত্যন্ত শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ তাদের। ব্যাটিং তো সবসময় শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তাদের পেসারদের গুণমান সত্যিই তাদের খেলাকে অনেক উন্নত করেছে। বুমরা-শামি-সিরাজের মতো বোলারদের সঙ্গেই হার্দিকের অলরাউন্ড ক্ষমতা। চাপ সামলানোর ক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। তবে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। যেটা কঠিন কাজ।'বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ সদস্য়ের দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), সঞ্জু স্য়ামসন (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্য়াটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদীপ সিং, জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজরিজার্ভ: শুভমন গিল, রিঙ্কু সিং, খালিল আহমেদ ও আবেশ খান।  
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)