তৃতীয় বিয়েতে দেওরের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা' বউদির! পরকীয়ার জেরে শেষমেশ...
২৪ ঘন্টা | ১৮ মে ২০২৪
দিব্যেন্দু সরকার: দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বউদির। বিবাহ বহির্ভূত সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি প্রতিবেশীরা। যার জেরে গণধোলাই দেওয়া হয়। গণধোলাই দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা-ই। আর তাতেই অপমানিত হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন দেওর-বউদি দুজনেই। এই ঘটনায় এলাকায় ও পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগের সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মানিক পাট এলাকায়।পুলিস দেওর-বউদি দু'জনেরই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত দেওয়ের নাম বিদ্যুৎ রানা ও বউদি জয়ন্তী মণ্ডল। দুজনেই সমবয়সী। দুজনেরই বয়স ২৮ বছর। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, বউদির সঙ্গে দেওরের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। দু'দিন আগেই ওই এলাকায় সবাই জেনে যায় যে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কের কথা। তাই সেই দিন রাতে দেওরকে মারধর করে পাড়ার লোকজন। এরপর-ই শুক্রবার ভোরবেলা বউদি ও দেওরের বাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছায় আরামবাগ থানার পুলিস।পুলিস যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, বউদি জয়ন্তী মণ্ডলের এর আগেও দু'বার বিয়ে হয়েছিল। তারপর মানিক পাট এলাকায় সন্তোষ পরামানিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এটি তাঁর তৃতীয় বিয়ে। সন্তোষ পরামানিক তাঁর তৃতীয়পক্ষের স্বামী। মৃতার এক সন্তান আছে বলেও জানা গিয়েছে। মৃতার স্বামী সন্তোষ পরামানিক হরিনাম সংকীর্তন করেন ও চাষ আবাদ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।