জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্কুলের একটি ড্রেনের মধ্যে মিলল ৩ বছরের বাচ্চার মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, বাচ্চা ছেলের দেহ উদ্ধার পরে তাঁর পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সেই বেসরকারি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় শোকাহত পরিবার রাস্তা অবরোধ করে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত করে এবং রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত ছেলে স্কুলে যায়। বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে গেলে বাড়ির লোক তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে তারা স্কুলে যায়। সেখানে গেলে স্কুল তাদের জানায় সে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের সন্দেহ বেড়ে যায়, কারণ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিল। ফলে তা পরিবারের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
পরিবার স্কুল চত্বরে তাদের অনুসন্ধান শুরু করে। অবশেষে তারা ভয়াবহ আবিষ্কার করে। দুঃখজনকভাবে, শিশুটির মৃতদেহ স্কুলের গভীরে একটি ড্রেনেজ নর্দমার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদ বাচ্চাটির পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দ্রুত বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং স্কুলের দেয়ালের কিছু অংশে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়।স্থানীয় পুলিস এবং কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি সম্পর্কে দ্রুত অবহিত করা হয়েছিল। যার ফলে তারা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাটনা পুলিস সুপার চন্দ্র প্রকাশ জানিয়েছেন তদন্ত চলছে। রিপোর্ট অনুসারে, তিনি আরও বলেছেন যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শিশুটি স্কুলে প্রবেশ করছিল, কিন্তু কোনও সময়েই তাঁকে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে দেখা যায়নি।তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে পুলিস এটিকে খুনের মামলা হিসাবে তদন্ত করবে কারণ তারা লাশটি লুকিয়ে রেখেছিল, যা অপরাধমূলক উদ্দেশ্য দেখায়। পুলিস ইতোমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে। তদন্তের সময়, দুইজন স্কুলের শিশুরা স্বীকার করেছে যে বাচ্চাটির লাশ স্কুলের নর্দমায় রাখা হয়েছিল।অন্যদিকে, ক্লাস ১০-এর পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল। শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে একজন ১৬ বছরের তরুণীর। জানা গিয়েছে, বুধবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। গুজরাত সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের (জিএসইবি) ফলাফল ১১ মে ঘোষণা করা হয়। সেখানে হীর ঘেটিয়া নামে তরুণী দুর্দান্ত রেজাল্ট করে। গুজরাতের মোরবির বাসিন্দা তিনি। ক্লাস ১০-এর পরীক্ষায় হীরা ৯৯.০৭ শতাংশ নম্বর পায়। কিন্তু ভাগ্যের কোপ থেকে আর কে বাঁচে। মস্তিষ্ককে রক্তক্ষরণ এবং যার ফলে এক মাস আগেও রাজকোটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় হীরকে। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ আগে আবার শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের সমস্যা শুরু হয়।তৎক্ষণাৎ হীরকে হাসপাতালের আইসিইউিতে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখানে এমআরআই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, তাঁর মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অবশেষ তাঁর হার্ট কাজ করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় এবং সে মৃত্যু হয়।