মাধ্যমিকে নম্বর পেয়েও প্রথম দশে নেই মেধাবী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অবিলম্বে মূল্যায়নের নির্দেশ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১৮ মে ২০২৪
গোবিন্দ রায়: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। প্রথম দশ জনের মেধা তালিকায় তার সপ্তম স্থানে থাকার কথা। কিন্তু মাত্র চার নম্বরের জন্য সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত পূর্ব মেদিনীপুরের বেলদার জ্ঞানদ্বীপ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌম্যসুন্দর রায়। তাই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে ওই ছাত্রের খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে আবেদনকারী সৌম্যসুন্দরের আবেদন খতিয়ে দেখতে হবে। সহানুভূতির সঙ্গে খাতা মূল্যায়ন করে প্রাপ্ত নম্বর যাতে সে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সৌম্যসুন্দরের দাবি, সে এবার ৭০০-র মধ্যে ৬৮২ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তাকে জীবন বিজ্ঞানে এক নম্বর কম দেওয়ায় সে সপ্তম হতে পারেনি।
জানা গিয়েছে, ফল প্রকাশের পর সৌম্যসুন্দর জীবন বিজ্ঞান খাতার পুনর্মূল্যায়নের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানায়। কিন্তু পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। এর পর সে উত্তর পত্রের প্রতিলিপি চেয়ে সে আবেদন জানায়। সেই উত্তর পত্র হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় ৪টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সত্বেও নম্বর করে কম দেওয়া হয়েছে। তার দাবি, এই কারণে সে জীবন বিজ্ঞানে ১০০-র মধ্যে সে ৯৬ পেয়েছে। কিন্তু সঠিক মূল্যায়ন হলে তার প্রাপ্ত নম্বর হত ১০০।
আবেদনকারীর আরও অভিযোগ, যে ছাত্র মাধ্যমিকে দশম স্থান পেয়েছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। সৌম্যর ৪ নম্বর যোগ হলে তার প্রাপ্ত নম্বর হত ৬৮৬। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদাসীনতার অভিযোগ নিয়েই সে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কুহেলি ভট্টাচার্যের কাছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, ?এত ভালো মেধাবী ছাত্র। সমস্ত বিষয় ১০০ এবং তার কাছাকাছি নম্বর পেয়েছে। সাইন্সের সঠিক উত্তরে সঠিক নম্বরই দেওয়া উচিত। উত্তর সঠিক হওয়া সত্বেও কেন কম নম্বর দেওয়া হল ?? এর পরই বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।