• ভরতপুরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, আহত পুলিশকর্মী
    আজকাল | ১৮ মে ২০২৪
  • ‌‌‌‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ লোকসভা নির্বাচন মিটতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সালার থানার উজনিয়া গ্রাম। শনিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর–মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক আজহারউদ্দিন সিজারের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সিজারের বাড়িতে বোমাবাজির পর তাঁর কিছু অনুগামী তৃণমূল কংগ্রেসের অপর গোষ্ঠীর লোকেদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় সালার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ পুলিশের সামনেই বোমাবাজি করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির মাঝে পড়ে পুলিশের এক কনস্টেবলের পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লাগে। যদিও সালার থানার এক আধিকারিকের দাবি ওই পুলিশকর্মী পড়ে গিয়ে অল্প আহত হন। প্রসঙ্গত, আজহারউদ্দিন সিজার জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার আগে ভরতপুর–২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। ২০২২ সালে মুস্তাফিজুর রহমান ব্লক সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দু’‌জনের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ মুর্শিদাবাদে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই উজনিয়া গ্রামে সিজারের অনুগামীদের মুস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীরা মারধর করছিল। শনিবার সকালে কিছু দুষ্কৃতী সিজারের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ এর পরে সিজারের অনুগামীরা ওই গ্রামের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুগামীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। সিজার বলেন, ‘‌কয়েকদিন ধরেই গ্রামে অশান্তির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চলছে। এদিন সকালে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ছ’‌টি বোমা ছোড়া হয়েছে। কারা এই বোমাবাজির পেছনে জড়িত রয়েছে তা জানি। কিন্তু তৃণমূল জেলা সম্পাদক হিসেবে আমি চাই এলাকায় শান্তি বজায় থাকুক। তাই তাদের নাম বলছি না।’‌ ভরতপুর–২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ‘‌এলাকার সবাই জানে এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে সিজার কংগ্রেসের হয়ে ভোট করেছেন। তার বাড়িতে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। সিজারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক অনেকদিন আগেই ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকের বোমাবাজির ঘটনা পুলিশের সামনেই হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সব কিছুই প্রকাশ্যে আসবে।’‌ যদিও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আবার সিজারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‌একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিজার দলবিরোধী কাজ করলেও গত কয়েক বছর ধরে সে এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর কাজ করেছে। এবছরও লোকসভা নির্বাচনে সে ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোট করেছে। আমার কাছে তথ্য রয়েছে ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুরের অনুগামীরাই কংগ্রেসের হয়ে এলাকায় ভোট করেছে। তবে আমি দু’‌পক্ষকেই বলব এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য।’‌ গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‌মুর্শিদাবাদে লোকসভা নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল দলে হতাশা বাড়ছে। নেতারা পরাজয়ের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন। তাই নিজেদের দলের মধ্যেই তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। বোমাবাজির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।’‌ ‌
  • Link to this news (আজকাল)