তীর্থঙ্কর দাস: গল্প হলেও সত্যি। ৬০ বছর বয়েসে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ গুহ। ৬০ বছর মানেই অবসর আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। সময় কাটানোর মধ্যে থেকেই অসম্পূর্ণ স্বপ্ন সম্পূর্ণ করার ইচ্ছে জেগে উঠেছিল ইন্দ্রজিৎ বাবুর মনে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা শেষে নিজেকে আরাম দেওয়ার জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ল্যাটারাল এন্ট্রি টেস্ট দিয়ে ছেলের কলেজে ভর্তি হলেন বাবা। জেইএলইটি-তে তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ৪৮১৪। অর্থনীতিতে স্নাতক ইন্দ্রজিৎ গুহ । মুর্শিদাবাদ ইনস্টিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে করেছেন ডিপ্লোমাও। ১৯৮৯ সালে ডিপ্লোমা শেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মী হিসেবে যোগদান ১৯৯১ সালে। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেন টেকনিক্যাল সুপারেনটেনডেন্ট পদে। বললেন, 'ডিপ্লোমা করার পর ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে মাস্টার্স করবেন। সংসার চালানোর চাপে তা হয়ে ওঠেনি। সেজন্যই ৬০ বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু আবার। দমদমের সুধীরচন্দ্র সুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বর্তমানে পড়ছেন ইন্দ্রজিৎ গুহ। তিনি আরও জানান, 'কলেজে কাকু বলে সম্বোধন করেন বেশিরভাগ পড়ুয়া'। সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা প্রত্যেকেই প্রতিমুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সম্মানও করেন প্রত্যেকে ইন্দ্রজিৎ বাবুকে। ইন্দ্রজিৎ গুহর মতে, 'পাস করি বা ফেল করি কিছু যায় আসে না। কিন্তু জীবনের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন সম্পূর্ণতা পাবে'। বাবার কথা গর্বিত ছেলে ঋজু সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে। নেটিজেনদের মন কেড়েছে বাবা ছেলের এই গল্প।