• স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহকাণ্ডে গ্রেফতার কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভব
    আজ তক | ১৮ মে ২০২৪
  • মুখ্যমন্ত্রীর আবাসে রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের উপর নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাব কুমারকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। শনিবার প্রথমকে বিভবকে আটক করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী আবাস থেকে তাঁকে সিবিল লাইন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতেই বিভবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

    পুলিশ বিভবকে নিয়ে সিভিল লাইনস থানায় পৌঁছনোর পরই আপের আইনি সেলের প্রধান সঞ্জীব নাসিয়ার জোর করে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেন। দিল্লি পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশকে বিভব কুমার যে মেইল ​​পাঠিয়েছিল তার আইপি অ্যাড্রেসও ট্র্যাক করা হয়েছিল। বিভবের খোঁজ চলছিল। অবশেষে বিভবকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

    গত ১৩ মে স্বাতী মালিওয়ালের উপর নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ বিভব কুমারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। একটি এফআইআর-ও দায়ের করেন। শুক্রবার আদালতে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন স্বাতী। ওই মামলায় বিভবকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। 

    এফআইআর-এ স্বাতী জানিয়েছেন,'আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর ক্যাম্প অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। অফিসে যাওয়ার পর আমি মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক বিভব কুমারকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ফোনে পাইনি তাঁকে। তারপর আমি তাঁর মোবাইল নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে) একটি বার্তা পাঠালাম। তবে কোনও উত্তর আসেনি। এর পর আমি বাড়ির মূল দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। গত বছর ধরেই ওই বাড়িতে আমার যাতায়াত। কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা জানাতে বলি। আমাকে ড্রয়িংরুমে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। আমি ড্রয়িং রুমে গিয়ে সোফায় বসে দেখা করার অপেক্ষা করতে লাগলাম। একজন কর্মী এসে আমাকে বলল যে মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। এই কথা বলার পরই রুমে ঢুকলেন মুখ্যমন্ত্রীর পিএস বিভব কুমার। বিনা প্ররোচনায় চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এমনকি আমাকে গালিগালাজও করতে থাকেন। এই আকস্মিক ঘটনায় আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমি তাঁকে বললাম আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলবেন না'। 

    স্বাতী আরও বলেছেন,'বিভব আমাকে চড় মারতে শুরু করে। আমাকে অন্তত ৭-৮ বার থাপ্পড় মেরেছে। আমি চিৎকার করতে থাকলাম। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। নিজেকে বাঁচাতে তাঁকে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার শার্ট টানল ও। আমার শার্টের বোতাম খুলে গেল। আমি পড়ে গেলাম। সেন্টার টেবিলে আমার মাথায় আঘাত লাগল। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকলাম। বিভব কুমার আমার বুকে, পেটে ও পায়ে লাথি মারতে থাকল। আমার পিরিয়ড চলছিল। ওকে অনুরোধ করলাম, আমায় যেতে দাও। বিভব আমাকে ধমক দিয়ে বলল, যা খুশি কর। তুমি কিছুই করতে পারবে না। এমন জায়গায় পুঁতে দেব,কেউ জানতে না পারবে না'। 

    স্বাতীর অভিযোগ, ওই ঘটনার পর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাড়ির বাইরে মেঝেতে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। পরে পুলিশের সহায়তায় অটোতে বসে সিভিল লাইনস থানায় পৌঁছন। ভয়ানক যন্ত্রণায় ছিলেন। ব্যথার জন্য এবং ঘটনায় রাজনীতি করতে না চাওয়ায় লিখিত অভিযোগ না দিয়েই থানা ছেড়ে চলে যান বলে দাবি স্বাতীর। 
  • Link to this news (আজ তক)