• দিল্লিতে কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের ওপর হামলা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ মে ২০২৪
  • কলকাতা, ১৮ মে:   ফের সংবাদ শিরোনামে কানহাইয়া কুমার। ভোট প্রচারে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তিনি। তাঁকে মালা পরিয়ে গায়ে কালি ছেঁটানো হয়। করা হয় মারধর। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত কংগ্রেস আপ কাউন্সিলর ছায়া গৌরব শর্মাও।
    প্রসঙ্গত একসময়ে কট্টর বামপন্থী ছিলেন কানহাইয়া। তাঁর বিতর্কিত বক্তৃতা রাজনৈতিক মহলের চর্চার কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু জাতীয় স্তরে বামপন্থীদের হাল খারাপ। জনসমর্থন তলানিতে। সেজন্য সম্প্রতি তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
    চলতি লোকসভায় দিল্লির উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের হাত শিবিরের প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। তাঁর অভিযোগ, ভোট প্রচারের সময় বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর আক্রমণ করেছে। তাঁকে মালা পরিয়ে কালি ছিঁটিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দুষ্কৃতীরা। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন একজন আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর ছায়া গৌরব শর্মা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আপ কাউন্সিলর। গতকাল সন্ধ্যায় কর্তারনগর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
    জানা গিয়েছে, এদিন প্রচারে বেরিয়ে আপ-এর কর্তারনগর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। সেখানে তিনি ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার সময় আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা আপ কাউন্সিলরের গায়ের শাল টেনে খুলে দেয়। এরপর তাঁর স্বামীকে পাশে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের দিকে কালি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। একইভাবে আক্রমণ করা হয় কানহাইয়া কুমারকে। কানহাইয়া কুমারের অভিযোগ, বিজেপি-র প্ররোচনাতেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি এই হামলায় প্ররোচনা দিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি প্রার্থী ‘হতাশ’। সেই কারণেই গুন্ডা পাঠিয়ে তিনি হামলা চালিয়েছেন।
    অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, “সাক্ষাতের পরে কানহাইয়াকে বাইরে ছাড়তে এসেছিলেন আপ কাউন্সিলর ছায়া। তখন কিছু লোক এসে কানহাইয়াকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে মালা পরিয়ে দেওয়ার পর মারধর করা হয়। গায়ে কালি ছোড়া হয়। আপ কাউন্সিলর বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।’’
    অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুজন ব্যক্তি এই হামলার দায় স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাঁদের বলতে শোনা যাচ্ছে,‘‘কানহাইয়া কুমার দেশ ভাগ করার কথা বলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই আমরা আজকে ওকে উচিত শিক্ষা দিয়েছি। যাঁরা দেশভাগের কথা বলেন, তাঁদের আমরা দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেব না।’’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)