• ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই হানা কাঁথি লোকসভা এলাকায়
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি? লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে রাজ্যে ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই৷ শুক্রবার সকালে কাঁথি লোকসভা থেকে অদূরেই অবস্থিত দুই গ্রামে পেঁৗছায় সিবিআইয়ের দুটি দল৷ সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও৷ যদিও পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগে ঠিক কী কারণে সিবিআই হানা তা নিয়ে সরাসারি মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার অধিকারিকরা৷ তবে সূত্রের খবর, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত করতেই এদিন সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকায় যান সিবিআই আধিকারিকরা৷ ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামের তৃণমূল নেতা দেবব্রত পান্ডার বাড়িতে সাত সকালে হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল৷ তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি৷ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসারেরা৷ অন্যদিকে একই সময়ে সিবিআইয়ের আরও একটি দল পেঁৗছায় মরিশদা থানার ইচ্ছেঘেরা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বুদ্ধদেব মাইতির বাড়ি৷ তবে তিনিও বাড়িতে ছিলেন না৷ ফলে বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলেই ফিরে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা৷
    উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্বের আগেই কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলিতে জনমেজয় দলুই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই খুনের মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে৷ আদালতের নির্দেশে সিবিআই সেই খুনের তদন্ত ভার গ্রহণ করে৷ পাশাপশি, নির্বাচন চলাকালীন বুদ্ধদেব মাইতির বাবা অর্থাৎ তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ ভোটপর্ব শেষ হতেই জনমেজয় দলুই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷
    এদিনের সিবিআই হানা প্রসঙ্গে নন্দদুলাল বলেন, ‘‘আমরা কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই৷ আমার ছেলে কাজের সূত্রে হাওড়ায় থাকে৷ আগেও সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেছে৷ আমাদের নামে কোনও অভিযোগ নেই৷’’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)