রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নয়া মোড়! রেকর্ড গোপন জবানবন্দি, রুজু মামলা...
২৪ ঘন্টা | ১৮ মে ২০২৪
পিয়ালি মিত্র: শ্লীলতাহাহানির অভিযোগে নয়া মোড়। রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিসের। আটকে রাখা, নালিশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওই ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিসের স্ক্যানারে কোন তিন কর্মী? জানা গিয়েছে, পুলিসের দায়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে রাজভবনের ওএসডি এসএস রাজপুত সহ ৩ কর্মীর। কুসুম ছেত্রী, যেই মহিলাকে তরুণীর ব্যাগ নিয়ে তাঁর পিছনে হাটতে দেখা গিয়েছিল সিসিটিভিতে ও পিওন শান্ত লালের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে পুলিস। ওদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকাণ্ডে গতকাল বয়ান রেকর্ড হয়। ব্যাঙ্কশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে গোপন জবানবন্দি দেন অভিযোগকারী তরুণী। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে বয়ান রেকর্ড করা হয়। প্রসঙ্গত, 'শ্লীলতাহানি' কাণ্ডের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নবান্নে রিপোর্ট জমা পড়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে এক ধর্ষণ মামলার রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। নবান্ন সূত্রে খবর, এক নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর ৫ ও ৬ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান রাজ্যপাল। দিল্লিতে তাঁকে একটি পাঁচতারা হোটেল রাখার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যপালের বেঙ্গালুরুর এক আত্মীয় সেই হোটেলের রুম বুক করেন। অভিযোগ, ওই হোটেলেই ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই নৃত্যশিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালায় ডিসি পদপর্যদার এক অফিসারের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিসের একটি টিম। সেই ধর্ষণ মামলারই রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে।প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনের পিবিএক্স-এ কর্মরত এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল আগেও তাঁকে কু-ইঙ্গিত করেছেন। আর ঘটনার দিন রাজ্যপাল তাঁকে চেম্বারে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি দেয় লালবাজার। কিন্তু 'সচ কা সামনা' বলে এক অনুষ্ঠানের ঘোষণা করে 'পুলিসকে নয়,জনতাকে ফুটেজ দেখানো'র সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। এরপর বিকেল ৫.৩২ থেকে ৬.৪১ মিনিট রাজভবনের দুটি ফুটেজ দেখানো হয়। "সচ কা সামনা" বলে ওই অনুষ্ঠানে ২ মে, যেদিন ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেদিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে রাজভবন। তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ মূলত রাজভবনের মেইন গেটের পুলিসের আউটপোস্ট সংলগ্ন দুটো সিসিটিভির। যেখানে অভিযোগকারিণী রাজভবনের দিক থেকে হেঁটে ওসি রাজভবনের ও অতিরিক্ত চেম্বারে কখন ঢুকছেন তা দেখানো হয়। ওদিকে কলকাতা পুলিসের হাতে আসে আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যায়, ২ মে, ঘটনার দিন রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী। ফুটেজটি বিকেল ৫.১৫ মিনিটের। যেখানে তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণী স্পেশাল সেক্রেটারির চেম্বারে যান। সেখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তাঁকে কাঁদতে-কাঁপতে দেখে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। সেখানে ১০ মিনিট ছিলেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী ওসি রাজভবনের ঘরের দিকে যান।